বর্ষা গিয়ে শরৎ আসে হেমন্ত গায় গান
শীতে কাঁপে থরথরিয়ে হিম কুয়াশায় প্রাণ।
হরিণদৌড়ে দিন কেটে যায় পড়ে আসে বেলা
রাত নিশিতে করোটিতে জাগে আগুন খেলা।


পরিযায়ী পাখিন মতোন হোগলা ঝোপে বাসা
তাল শহরের পাশ দিয়ে তার নিত্য যাওয়া আসা।
কী জানি কী খুঁজে বেড়ায় অমল টোপাজ চোখ
তার পরশের উষ্ণতা চায় তৃষ্ণাকাতর বুক।


হয় না ছোঁয়া শিউলি বেলির সুবাস মাখা চুল
ধমনিতে দুঃখের সারস করে শোরগোল।
মনবলাকা একলা একা আঁধার মেখে চোখে
শীত যাপনের ইচ্ছেগুলো লুকিয়ে রাখে বুকে।


মনের সাথে মন জুড়ে আর দেহের সাথে দেহ
শীত যাপনের ইচ্ছেগুলো বুঝলো না হায় কেহ।
উত্তরী বায় হাড় ফুড়ে যায় উষ্ণতা চায় বুক
কমলদীঘির জল টলমল পাই না নাওয়ার সুখ।
১২-০১-২০২১