তোমার জন্য পলাশ শিমুল রক্তজবা কৃষ্ণচূড়া সব এনেছি
তোমার স্বপ্ন করতে পূরণ লাগলে জীবন দিয়ে দিবো তাও ভেবেছি
একটি বাড়ির সিঁড়ি যখন হয়ে গেলো রক্তনদী যেই জেনেছি
নেতা হারা নতুন পথিক তোমার ছবি বুকে নিয়ে খুব কেঁদেছি।


স্বপ্ন তোমার সোনার বাংলা, কুড়িয়ে এনে সামনে যাবার পথ খুঁজেছি
মধুমতির স্রোতে মিশে নাও ভাসিয়ে দিক হারা এই জাতির জন্য
রেখে যাওয়া দিক খুঁজেছি। সকাল দুপুর রাত্রিগুলো
পেটের ক্ষুধা, ফুলের সুধা ভুলে গিয়ে বত্রিশের সেই বাড়ির ধুলো গায় মেখেছি।


তোমার মহান ত্যাগের কথা বুঝতে গিয়ে জীবনবেলার সাঁঝ ছুঁয়েছি
পড়তে গিয়ে একটি দেশের জন্মকথা, অসমাপ্ত আত্মকথা
কারাগারের রোজনাচাতে চোখ রেখেছি, রোদ দেখেছি উচ্চ তাপের
জেল খাটা এক নেতার কথা, অমরতা ছিলে তুমি কতটুকু বড় মাপের।


তোমার দেখা নয়া চীনের গল্প পড়ে আজ চিনেছি, তুমি ছিলে
আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক এক মহান পুরুষ মনেপ্রাণে এক বাঙালি
বাংলা ভাষার আন্দোলনে, ঊনসত্তরের অভ্যুত্থানে
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তুমি ছিলে অগ্রনায়ক জালিম শাহের মূল উৎপাটক।


মাটির গন্ধ, ফুলের সুবাস, দোয়েল শালিক কোকিলের সুর
প্রিয় স্বদেশ, বাংলা ভাষা, সব পিপাসা করেছে দূর,
এই দেশেতে জন্মেছিলে বলে তুমি হিমালয়ের চাইতে উঁচু মহান পুরুষ
মহান নেতা, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর, শেখ মুজিবুর, শেখ মুজিবুর।
১৯-০২-২০২১