প্রচণ্ড শীতের রাতে পা হতে মাথা অবদি
কাঁথা দিয়ে ঢেকে আকাশ-পাতাল ভাবি।
ভাবনার সাগরে তলিয়ে দেখি পৃথিবীর
সমুদয় ভালোবাসা হাঙ্গরের পেটে।


হিমশৈল ঘেঁটে দেখি - মানবিক মায়াকাতরতা
জমে আছে হিমায়িত ইলিশের চোখে।
হিম হওয়া হাতের তালু ঘষে খুঁজি ভাগ্যরেখা
জীবনের নকশার ভাঁজ খুলে দেখি আঁকা নেই
কোথাও ভালোবাসার পারিজাত প্লট!


হাতহীন জন্মানো মানুষেরও ভাগ্য থাকে।
জি স্যার, জি স্যার করে করে কচলানো
রেখা মোছা হাতঅলা লোকেরও থাকে
আলিশান বাড়ি গুলশানে – ঘরে থাকে
অপূর্ব সুন্দরী বউ, বাদি, চাকর, চাপরাশি।


ভাবনার করিডোরে নিবিড় কুয়াশা ঘিরে ধরে।
ধরে না কেবল কুসুম কোমল সেই হাত
এই হিমায়িত হাতে উষ্ণতার পরশ ছড়িয়ে দিতে-
যেই হাত আমার আমার করে কেটে গেলো
সকাল দুপুর আর বিনিদ্র বিকেল!


বুকের উষ্ণতা, সুখের ঘরের চাবি বাঁধা থাকে
পরিযায়ী পাখির ডানায়। সুখ থাকে রোদের আদরে
বেড়ে ওঠা গোলোপের চোখে।
০৮-০১-২০২০