তুমি এসো সুনন্দিতা- গোধূলির রঙ মেখে
পড়ন্ত বিকেলে কুমুদের ঝিলে হাওয়ায় দুলে
অথবা নিঝুম রাত্রির পরম শান্তির ঘুম হয়ে।
তুমি এসো ভোরের পাখির মিষ্টি কলরবে,
অথবা সবুজ ঘাস, ঘাসের ডগায় জমে থাকা
শীতল শিশির হয়ে। তুমি এসো হিজলের
ফুল হয়ে শ্রাবণের জলে ভেসে- এই ভাটি
বাংলার শ্যামল দেশে। বসন্তের বিরহী কোকিল
হয়ে তুমি এসো। মাথার উপরে হয়ে থেকো
বিশাল উদার নীলাকাশ-অথবা নক্ষত্র কিংবা
চাঁদ হয়ে থেকো রাতের আকাশে। তুমি এসো-
বৃক্ষপত্র হয়ে সবুজ কাননে-বৃষ্টি হয়ে নেমে এসো
টিনের চালেতে; কোনো এক বর্ষায়-
নদীজল কলকল ঢেউয়ের তালে হেলে দুলে।
তুমি এসো শঙ্খচিলের ডানায় চড়ে
হেমন্তের সোনালী ফসল হয়ে বাংলার প’রে।
তুমি এসো বকুলের বুকের সুবাস মাখা
ভোরের বাতাস হয়ে-অথবা পৌষের
হিম হিম রোদের চাদর হয়ে অথবা গ্রীষ্মের
অলস দুপুরে প্রশান্তির ঘুম হয়ে। বাংলার
উপকণ্ঠে তুমি হয়ে এসো কৃষকের হাসি
গোলা ভরা ধান। আমি দু’চোখের পাতা খুলে
দেখবো তোমাকে- আর নিবো তোমার
রক্তিম ওষ্ঠের মদিরা ঘ্রাণ...
৩০-৭-২০১৮