আমি আমার চাহিদার চৌহদ্দির খবর রাখি
জানি চাহিদা পূরণের সীমাবদ্ধতার কথা।
জানি বলেই কাম-ক্রোধ-বাসনাকে বশে রাখার
কৌশল করেছি রপ্ত; রক্তে ও হৃদয়ে। আমি-
পাপ ও পুনরুত্থানে ভয় করি-ভয় করি মানুষের
করুণার পাত্র হতে।


শান্তির অন্বেষণে ন্যায্য অধিকার ছেড়ে দিতেও জানি
তবে এইকথা সত্যি-
বিবেকের অধিক্ষেত্রে কারো অনধিকার প্রবেশে
রয়েছে ঘোর আপত্তি।


আমি দিনকে দিন বলতে জানি; রাতকে বলতে-
জানি রাত। চাতুর্যের কোরাসে কাউকে প্রলুব্ধ করা
ধাতে নেই বলেই হয়েছি অনেকের চক্ষুশূল।
তাইবলে কৃপণও নই- সত্য এবং সুন্দরের
প্রশংসাকীর্তনে।


এতে কারো হতে পারে ক্ষতি কিংবা স্বার্থের সুতোয়
লাগতে পারে টান। তাতে মোটেও বিচলিত নই আমি।
সীমাবদ্ধতার আবর্তে অক্ষম বৃত্তাবদ্ধ এই আমাকে যতই
টানাটানি করো কোনও লাভ হবে না কারো।


আমি
ভাঙতে ভাঙতে কতবার জোড়া লাগি-দেয়ালের
আরশিটা ছাড়া আর কেউ ভালো জানে না তেমন।
দার্শনিকের মতন প্রখর দৃষ্টির পাশে শুয়ে থাকা
প্রাণিটিও জানে আমি কেমন। অভাব আছে। তবে-
স্বভাবে নেই কোন লোভ মাংস ও মদের। অননুমোদিত-
নারীর শরীরের কস্তুরি সুবাসেও নেই তেমন বাড়তি
তেমন বাড়তি কোন আকর্ষণ।


আমি আমার চাহিদার চৌহদ্দির খবর রাখি
জানি চাহিদা পূরণের সীমাবদ্ধতার কথা। বিশ্বাসের-
দুর্বল পলেস্তারা খসে গেলে কারো- এর দায় একান্তই তার।


অহেতুক চাপানো দোষের মর্মপীড়া সইতে পারি না-
ব্যথা বেশিক্ষণ বইতে পারি না-
বলেই নিজেকে ভাঙি নিরন্তর। ভাঙা-গড়ার খেলায়
বলতে পারো আমি এক নিপুণ কারিগর।
আমার হৃদয়-ভাঙা কাঁচ এক। এর বেশি নয়। ভাঙা কাঁচে
হাত দিলে যে কারো আছে রক্তাক্ত হওয়ার ভয়।
জেনেশুনে হাত দিও।
০২-১২-২০২০