মহত্বের পরিচয় (১ম খণ্ড)


ইয়েমেনাধিপতির বড়ই আক্রোশ
হাতেম হননে ঘাতক পাঠালেন
          হয়ে দিল খোশ।
ঘাতক ছোটেছে নাঙ্গা তলোয়ার হাতে
দুর্গম পথ অতিক্রম করেছে
         খোঁজিছে হাতেম।
পথি মধ্যে দেখা হলো
         আশ্চর্য এক যুবক,
সুদর্শন প্রাঞ্জা, প্রভামণ্ডল বদন।
         মমতার হাসিতার
অধর যুগল হতে মধুবর্ষন।
কৃপাণ পাণি হনন কারির হাত ধরি
            বলিছে যুবক,
   পথ শ্রমে ক্লান্ত তুমি
দীর্ঘপথ ভ্রমনে চরণ অসার।
        নিলয়ে চলো তুমি
         কৃপণ নহি আমি
     সশ্রদ্ধ করিতে তোমার।
নিলয়ে অশেষ  প্রকারে শ্রান্ত পান্থকে
শ্রান্ত করিলো করিয়া যতন।
পদচুম্বন করি, নিবেদন করিলো যুবক
আমার কুঠোরে থেকে কিছুদিন,
         শ্রান্ত করো দূর।
অমিয় মধুর ব্যবহারে গলিলো হন্তার প্রাণ
যুবকের কাছে জান্তে চাইলো হাতেম সন্ধান।
যুবক কহিলো সত্যি করে বলো
কেন তুমি করিতেছ সন্ধান।
হন্তা কহিলো বড়ই আক্রোশ হাতেম উপর
ছিন্ন করিতে শির তাই পাঠালেন অধিশ্বর।
মধুর হাসি হেসে যুবক ,নোয়াইল শির
    আমি হাতেম কহে যুবক
         ধূলায় লোটাও শির।
পুরবাসী জাগরিত হইবে যখন
আকাঙ্খা তোমার পূর্ণ হবে না
        পন্ড হবে শ্রম।
ওহে বীর কাটো শির
   সময় বয়ে যায়,
এমন সুযোগ হারাও কেন
     হেলায় -হেলায়।
অবনত শির মহাববীর হাতেম তাইর,
   মহত্বের শক্তির কাছে
হনন কারির পাষান হৃদয় ভেঙে চৌচির।
       তূনীর আর তরবাড়ি
       নিক্ষেপ করি হনন কারি,
ধূলায় পরিয়া কাঁদিলো
  হাতেম তাইর পায় ধরি।
কৃতার্থ দাসের মতো বুকে হাত বেঁধে
গদ্ গদ্ ভাবে কহিতে লাগিল কেঁদে,
ও চারু অঙ্গে ফুল ছিঁড়েও যদি
       কেহো মারে ক্রোধে,
      সে তো পুরুষ নহে
     নারীই জানিবে সবে।
দক্ষিনা মলয় বয়ে যাক
      তোমার সুনাম গেয়ে,
ইয়েমেন প্রদেশ ধন্য আজ
          তোমার পরশ পেয়ে।