-আচ্ছা, তুমি চোখে কাজল পরো না কেন?
-আমাকে কাজল পরতেই হবে কেন?
-তুমি চোখে কাজল পরলে,
  চোখ হয়ে যায় গভীর সমুদ্র!
  আমি হয়ে যাই-
   কম্পাস বিহীন অচেনা, অসহায় নাবিক সেই সমুদ্রের।

-এসব ফালতু কথা শোনার জন্যই কি আমায় ডেকেছ?
-আগে বল- তুমি চোখে কাজল পরো না কেন?
  তারপর বলছি, ডাকার আসল উদ্দেশ্য।


-আমি নারী। আমি সমুদ্র।
আমি বিনাশী উচ্ছল ঢেউ জীবন সাগরের।
  তবুও মানুষের অসহায়ত্বে আমি ভেঙ্গে পড়ি।
-তুমি ভাঙ্গো?
-আমি কি তবে ভাঙ্গি না?
  আমার কি মানুষের মন নেই?
-না। আছে নাকি? তুমি কি তাই বলতে চাও?
-বলছি, তাই তো আমি কাজল পরি না।
  গভীর আর বিপদসংকুল করি না
  তোমাদের চলার পথ।
  তোমরা নির্দ্বিধায় হাঁটতে পারো,
  নিঃসঙ্কোচে পাড়ি জমাতে পার গভীর জলসীমায়।
-আমি মরতে চাই। মরতে মরতে বাঁচতে চাই।
  বাঁচতে হলে তোমাকে পেতে চাই।
  তোমাকে পেলে মরণ ছাড়া রক্ষা নাই।
  এ কেমন নেশা বলো- জিইয়ে রাখ?


-নারীর চোখ সমুদ্র যেমন হতে পারে,
তেমনি হতে পারে জাগ্রত আগ্নেয়গিরি।
উত্তপ্ত লাভায় বিগলিত করে দিতে পারে
  তোমাদের স্বপ্নের পথ।
  তারচে বরং বেঁচে থাকো।
  বাঁচার মতো বাঁচো।
- সরল দোলকের মৃত্যু আমার জন্য অবধারিত জানি।
  তোমার ঘ্রাণ যতদিন পাবো ততদিন
   বাঁচা মরার মধ্যিখানে ঝুলতে ঝুলতে
   একদিন চোখের গভীরতায় হারিয়ে গিয়ে
   প্রমাণ করবো- এতদিন বেঁচে থাকিনি;
   মরতে মরতে বেঁচে ছিলাম।