হে কবি কাজী নজরুল!
তুমি বীর তুমি বীর তুমি মহাবীর
উচু থেকে উচুতর তোমার চির বিদ্রোহী শির
তুমি অশুভ দ্রোহের হা হুতাশ করুণ দ্বীর্ঘশ্বাস
ভীত ভীরুর স্বপ্ন আশার উচ্ছ্বাস।
তুমি অসাম্যের তরে সাম্যের আঠারোর মুষ্টি
বিজয় বিদ্রোহীর নিত্যনতুন কৃষ্টি।
তোমার বিদ্রোহী অগ্নিবীণার সুরে
আজো তরতরিয়ে কেঁপে উঠে অত্যাচারীতের হিয়া
আপন ভুলা পাষণ্ডের কঠিন দিয়া।
কে বলে তুমি নেই? তুমি গত যুগের কেউ
আমি বলি তুমিই হিটলার ভাঙার ঢেউ
আগ্নেয়গিরির বুকে এন্টার্কটিকার বরফ গলা জল
অবহেলিতদের শোকের বিনিময়ে শক্তি সাহস কেনার মল।
তুমি পূর্বাকাশের সূর্যোদয় পশ্চিমা আকাশের নয়
তুমি ঘাসের ডগায় জমা শিশির জল
গ্রীষ্মদাহে মাটির বেঁচে থাকার বল
খোলা জানালার পাশে বসা ভর দুপুরের দক্ষিণা মলয়।
তুমি কামার কুমার তাঁতি জেলের
কৃষক শ্রমিক মজুর যুবা মুটের আদর্শ সুর
চোখ রাঙ্গানিয়াদের বিষক্রিয়া-সরষে ফুলের ঘোর।  
হে বিদ্রোহী কবি!
মরেও মরনি তুমি আছ থাকবে সদা বেঁচে
নূর হোসেন মালালার চির বিদ্রোহী উৎস হতে
মতিউর শফিউরের রক্তে ভেজা লাল গালিচা হতে
যে পথ ধরে আসে শুধু নব নব বিজয়।


রচনাকাল :-
২৫শে মে ২০১৫ইং
রউদা, রিয়াদ, সৌদিআরব।