আবার এসেছে সেই পুরনো বায়ান্ন
এসেছে রক্ত ঝরা ফাল্গুন
জ্বেলেছে দেহ, মনে বিদ্রোহের আগুন
আ-মরি বাংলা ভাষার শত্রুা সব ভাগুন।
বায়ান্নর আট-ই ফাল্গুন জ্বেলেছে এবার
নতুন এক বিদ্রোহের আগুন
হাসতে-ই হবে বাংলাতে বাংলা বাগান
কাঁদলেও কাঁদবে এতেই পরাণ।
বিপরীতে প্রাণের হবে বারণ!


আমার মায়ের মুখের ভাষা
রফিক শফিক জব্বার বরকতের ভালবাসা
আট-ই ফাল্গুনের তিতাস মেঘনার রক্ত সাগরে ভেসে ওঠা
আম-রি বাংলা ভাষা
চোয়ান্নতে পেয়েছিল সুখের প্রথম ছোঁয়া,
দুই হাজারে নামের বিশ্ব ভরসা!
তারপরও কি পেয়েছে পূর্ণতা?
গুছেনি আজো এতটুকু ব্যথা
নিজ গৃহে পাইনি এখনো পূর্ণ স্বাধীনতা
কি করে পর ঘরে জানায় বলো
মনো আশার কথা?
কেমনে ভুলি এবিষাক্ত ব্যথার প্রহরতা
বুকের গভীরে হাহাকারের মাঘী শীতলতা
ব্যর্থতা গ্লানি আর মরুর ধ-ুধ শূর্ণ্যতা!


ভরদুপুরের ঝরা রক্ত কান্নার ব্যথায় জেগেছে আজ
পদ্মা মেঘনা যমুনার পাড়ে গড়ে ওঠা
হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক পল্লী অন্তর;
জেগেছে আমার রক্তিম বর্ণমালা অ আ মনোহর।
শোষণে দূষণে করবোনা আর ম্লান
আমার মায়ের মুখের গান
ভায়ের তাজা রক্তের শ্লোগান!!
আমরা-ই দেব আ-মরি বাংলা ভাষারে
নতুন এক সঞ্জীবনী প্রাণ।
দিকে দিকে তারই নামে  তোলব  জয়্ শ্লোগান!
সকল প্রতিবন্ধকতা করে বিরাণ।