আমন্ত্রণ পত্র কেবল
তুমি পেয়েছিলে আর বান্ধবীরা,
জন্ম দিনের;
জানত না বন্ধুরা তোমার,
আয়োজন করেছিলাম পার্টির,
ইচ্ছে করেই লজ এ।
তখন দুপুর বারোটা
রজনী গন্ধার সৌরভ, নাকে নাকে
একটা একটা করে সাঁজল
রঙিন মোমবাতি, আঠেরটি  
নড়ে ওঠে দেশলাই বাঁ হাতে
উৎসাহী হয়ে জ্বলে ওঠার,
বাতাসের আনাগোনা জানলায়,
নখের আঁচড়ে ওষ্ঠাগত প্রাণ, একটি  কাঠির;
অষ্ট আশি বৃদ্ধার শেষ অভিপ্রায়ে গুনছে সময়,
ঝলক দিয়ে হাসে ছুঁরি
কেকের মাঝে মাথা গুঁজে ,
বলে গেল আজান একটার
বন্ধ ফোনটা তোমার;
দলে দলে সন্দিগ্ধ চোখ
উকি দিল অধৈর্যে, দুটি ভেজা চোখে,
ডু মেরে গেল একটি চড়ুই
ঠোঁট নেড়ে জানালায়;
স্নায়ুর অলি গলি বেয়ে কৌতূহল,
সমুদ্রে তুফান কিসের?
দুপুর দুটো-
জোর করে ঢুকতে চায় ঘরে
মর্ধ্যাহ্নের রশ্মি,
হা করে গিলছে বাড়ি গুলো
শহরের কোলাহল,
বেলা তিনটে-
অনেক হয়েছে আর নয়,
করুণ আর্তি বান্ধীদের;
ফুলের ফিকে গন্ধে উড়ল
বেলুন আর কথা গুচ্ছ ,
ঢলে পড়ল সূর্য্য গোধূলি আলোয়,
ভাবিনি কেঁপে উঠবে হাত
কাটতে কেক, অনুপস্হিতিতে তোমার;
ওরা রেখে এসেছিল বাড়িতে,
তখন সন্ধ্যে, স্বপ্নগুলোরও!