খুব আহলাদ করেই বললে-
তোমাকে নিয়ে যেন কবিতা লিখি
কিন্তু ছন্দবিহীন সে কবিতা, তাও কি সম্ভব!!


কবিতা ছন্দের মিল চায়, মাত্রা-পর্বের উপযুক্ত বিন্যাস চায় !
সব কিছুই স্তরে স্তরে সাজানো আছে
শুধু একটিমাত্র উপসর্গ দিলেই কবিতা দেবো তোমায় !


ওই যে তোমার দীঘল কালোচুল বুকের উপরে দোদুল্যমান
প্রতিগোছা চুলের ভাঁজে ভাঁজে অদৃশ্য ছন্দেরা মিটিমিটি হাসছে !
তুমি কি দেখছো তা??


তোমার কপালের ঠিক উপর ভাগে, সিঁথির একদম কাছাকাছি -
কুচকুচে কালো বাহারি তিলকের আকর্ষণে
কবিতার ভাবনাগুলো কেন্দ্রভুত,
তুমি কি জেনেছো তা ??


মুখমণ্ডলে বিন্দু বিন্দু ঘাম
আলোর স্পর্শে মনে হয় দূর আকাশের উজ্জ্বল তারা
আর পুরো মুখচ্ছবি সেতো শিল্পীর নিখুঁত তুলিতে আঁকা
এক জীবন্ত প্রতিমা।
দৃশ্যমান প্রতিটি অঙ্গই যেন সুবিন্যাস্ত অন্ত্যমিল !!
অনুভব করেছো কখনও??


সিক্ত অধরের ফাঁকে লুক্কায়িত মৃদু হাসির আভা-
পুষ্প শতদলের অস্ফুট আহ্বানে দিশাহারা কবিতার মৌন মিছিল
চয়িত শব্দগুলো আমার ভাবনার আবরণ ছিঁড়ে-
তোমার মায়াবী আঁখিপানে ধাবমান!
শুনতে কি পাও সেই মিছিলের প্রতিধ্বনি??


সব কিছুই ঠিকঠাক, আপন গতিতে বহমান
এক অমর কবিতার সব কিছুই বিদ্যমান তোমার অভ্যন্তরে আর
আমার ভাবনার গভীরে
তবুও কবিতা ধরা দেয় না!!
একটু উপসর্গ দাওনি বলে!!


মুকলের আবরণ ছিঁড়ে পাপড়িরা মুক্তি চায়
আর মৌমাছি চায় শুধু মধুভরা ফুল
বাতাস বিনে শান্তজল দোলে না! দোলে না!!


আমাকে উপসর্গ দাও
আমি শব্দের সাথে শব্দের স্পর্শহীন গাঁথুনিতে
ছন্দের মালা গেঁথে তোমাকে দেবো,
শুধু একটি উপসর্গ চাই।


মিষ্টি কথায় প্রশংসা নয়-
কর্কশ ভাষায় সমালোচনায় বিঁধ আমায়
একবিন্দু অবহেলা দিয়ে-
কথা দিলাম এক পেয়ালা কবিতা দেবো তোমায়!!
যতন করা দুঃখ দাও , হৃদয় রক্তাক্ত করা যাতনা দাও
তোমার নীল আসমান কবিতা আলোয়ে আলোকিত করে দেবো।


কুয়ালালামপুর
মালায়শিয়া
১/১০/২০১৫