তুই ই কর, ব্যবহার কিংবা দূর্ব্যবহার_ তোর মাঝেইতো বিলীন করেছি সব_ আরে! আমি তো অপদার্থ; শুধুমাত্র কোন এক পাহাড়ের ওপাশে_ যেখানে পড়েনি শহুরে পায়ের চাপ_ অস্ট্রালয়েডদের দখলেই যেন চারিদিক_ শহুরে যান পৌঁছনোর কোন পথ হয়ে ওঠেনি আজও_ নাও হতে পারে সামনের পঞ্চাশ বছরে_ আমিতো পায়ে হেঁটেইতো পৌঁছেছি সেথায়_


জানিস; বড় কষ্ট হয়রে_ এতটা পথ হাঁটার পরেও একটুখানী ব্যথা লাগেনি পায়_ ভোরে প্রাইভেটে যেতে যেতে যে জোগিং হতো, ঠিক তার মতোই হয়েছে উপভোগ_ তখন হঠাৎ করে হোঁচট খাওয়া কিংবা পাশ দিয়ে শাঁ করে কোন গাড়ির চলে যাওয়া_ মৌনমাখা স্বব্দতায় যেন সুরের বেঘাত_ তবুও ভাল লাগতো_ আজ আর পারছি না রে; আসমান যেন খণ্ড খণ্ড হয়ে পড়তে শুরু করলো...


তুই ই কর, ব্যবহার কিংবা দূর্ব্যবহার_ এ অধিকার শুধু তোর ই আছে_ রাতের আঁধারে জোনাকীর মতো উড়তে পারিনি বলে হেঁটে হেঁটেই ডিঙিয়েছি পাহাড়গুলো_ জ্বলেছি আলো হয়ে তোর জানালায়_ তোকে দেখিনি; দেখিয়েছি তোর পথ...


বর্ষার বৃষ্টিতে পিচের ঝমঝম শব্দ আর বিজলীর ভয়াল দৃশ্য ধাওয়া করেছে বারবার_ থামিনি; সকালের সূর্য দেখা দেবে বলে_ তখনোতো মায়ের কথা অমান্য করে পাগলের মতো ছুটে এসেছি দেশের কোন প্রান্থ থেকে_ ঘোরপাক দিয়েছি তোর ত্রিকোণাকার উঠোন জুড়ে_ তুই ই কর, ব্যবহার কিংবা দূর্ব্যবহার


আগুনে পোড়ে ঘাস ফড়িংয়ের পাকার মতো অঙ্গার হয়েছে সদ্যগজানো পালক_ হার মেনেছো তরঙ্গের কাছে_ একটা ফড়িংয়ের ডানা ছাড়া কি আর এমন সম্বল থাকে বল? না হয় সেটাও সমর্পন করে দেব তোর নামে_ তখন না হয় আবার করবি, ব্যবহার কিংবা দূর্ব্যবহার...