অপ্রত্যাশিত ভ্রমণ,
কর্মক্ষেত্র হতে নিজ এলাকায় করছি গমণ।
যদিও সময় খারাপ কঠিন ক্রান্তিকাল,
চারদিকে ছড়ানো করোনার মায়াজাল!
বিশেষ প্রয়োজন-
তাই অসময়ে এই ভ্রমণের আয়োজন ।


এ জার্নি বাই বাস,
তড়িঘড়ি করে ছুটলাম তাকিয়ে আশপাশ,
গাজীপুর হতে ময়মনসিংহ-ফুলপুর,
পারি দিতে হবে যেতে হবে দুর-বহুদুর।
রয়েছে অনেক তাড়া-
চেক করে নিলাম মানিব্যাগে রয়েছে তো ভাড়া!


হাসবেন না!
প্রাইভেট চাকুরীর অল্প বেতন মাস শেষের যাতনা।
অনুধাবন করতে পারেন যারা অনুরূপ ভুক্তভোগী,
সামান্য সঞ্চয় থেকে খরচ করতে হতে হয় ত্যাগী।
তারপরেও আছি বেশ-
মাস যেন কিছুতেই শেষ হয়েও হয় না শেষ।


কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব,
মৃত্যু,আতঙ্ক,মানবিক সংকট আজ এর আবির্ভাব।
মহামারী রোখতে মাস্ক, পিপিই ও ভেন্টিলেশন,
প্রতিষেধক,ওষুধ,ভ্যাকসিন,সেলফ আইসোলেশন।
তবোও অব্যাহত মৃত্যুর মিছিল-
পেন্ডেমিক ভাইরাসটি বিশ্বের সবচে ক্ষমতাশীল।


প্রাণঘাতী আগ্রাসন,
বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাব সর্বস্তরেই কিযে এক প্রহসন।
কর্মহীন মানুষের দুর্ভোগ-উৎকণ্ঠা,মৃত্যুর আতঙ্ক,
অর্থবিত্ত-বৈভব, ক্ষমতা, আভিজাত্য সকলি তুচ্ছ।
চরম বিপর্যয়-
নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, বিশ্বঅর্থনীতি বিভীষিকাময়


বৈশ্বিক মহামারী,
উৎপাদন,বাজার,রাজনীতি,সর্বস্তরে আহাজারী।
সঙ্কুচিত-গৃহবন্দি মানুষের জাগতিক প্রয়োজন,
বিশ্বসভ্যতা আজ সংকটাপন্ন ঘনিয়েছে ক্রান্তিক্ষণ।
মেনে সামাজিক দূরত্ব-
স্বাস্থ্যবিধি,পারষ্পরিক সচেতনতায় দিতে হবে গুরুত্ব।


হায়রে গণপরিবহন,
নাই হ্যান্ড গ্লাভস,মাস্ক,স্যানিটাইজার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ।
গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহনে সংক্রমণের ঝুঁকি,
তাড়াহুড়ায় পর্যুদস্ত মানুষ সব হচ্ছে ঘরমুখী।
উপেক্ষিত যাত্রী সুরক্ষা-
যাতায়াত নিরাপদ নির্বিঘ্ন করার নিমিত্তে নেই ব্যবস্থা।


আপন গন্তব্যে,
পৌঁছলাম দীর্ঘশ্বাস ফেলে নেমে পড়লাম সন্ধ্যান্তে।
এভাবেই প্রতিনিয়ত আমরা নিজ প্রয়োজনে,
অসচেতন,অনিয়ন্ত্রিত আজ কালের এই মহাক্ষণে।
কি হবে করে ভাবনা-
সকলেই জানি প্রয়োজন আইন মানে না।