ক্যাম্পাস তোমায় মনে পড়ে।
সুপারীতলায় দুপুরের বাস গুলোকে
বিদায় দিতে দিতে ডাইনিং বন্ধ
হয়ে গেছে অনেক দিন।
ছাতিমের গন্ধে অলস দুপুরের আড্ডা
গড়িয়েছে বিকেলে।


টিএসসি চত্বরে ক্রিকেট খেলা শেষে
ক্যাফেটরিয়ার বেঁচে যাওয়া খাবার
সূর্য-দা’র হাতে অমৃত হয়ে যায়।


পড়ন্ত বিকেলে লেকের জলে
নৌকার গলুইয়ে বসে দেখা অরুণিমা
- খুব মনে পড়ে।
ক্যাম্পাস তোমায় মনে পড়ে।


রাতের বেলা পথের ধারে
হঠাৎ দেখা শিয়ালের চোখ
কিংবা ডানা ঝাঁপটে উড়ে আসা লক্ষ্মীপেঁচা
ভয়ের শিহরণ জাগায় মনে।
ক্যরাম কিংবা টেবিল টেনিসে বন্ধুদের হারানোর আনন্দ
ভুলিয়ে দেয় ফেরার পথের ভয়।
পূর্ণিমা রাতে মাতাল করা মহুয়ার গন্ধে অনেক হেঁটেছি।
ক্লান্ত দুপুরে শালবনে বৃক্ষতলে পাতা বিছিয়ে
বসেছি তোমার পাশে।


কালাম ভাইয়ের চা,
"উৎসাহের অন্তরায়"-ইউসুফের লেখা কবিতা,
ক্লান্ত দুপুরের বটতলা
- মনে পড়ে।


গ্রীষ্মের কৃষ্ণচূড়া,
বর্ষার কদম ফুল,
শরতের শিউলি,
হেমন্তের মুক্তমঞ্চ,
শীতের অতিথি পাখি,
কুয়াশার চাদরে ঢাকা ভোরের আলো,
বসন্তের পাতা ঝরার শব্দ
- মনে পড়ে।


লাল শাপলা জলে উড়ে আসা পরিযায়ী,
হলুদ করবী ফুলে মৌটুসীর খুঁনসুটি,
সবুজ পাতার ডালে বসে থাকা দোয়েল
- মনে পড়ে।
ক্যাম্পাস তোমায় মনে পড়ে।


(   মঈনুলইসলাম   )
লেখার তারিখ ও সময় : রাত ১১টা , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
লেখার স্থানঃ কেবিন নং ২০৩, এআর খান লঞ্চ, মেঘনা নদী