সেই তুমি এত কাছে,
যেখান থেকে বাহুলগ্ন হবার দূরত্ব
এক চিলতে ফাঁকের চেয়েও কম।


সেই তুমি যখন বুকের নিশ্বাশ টান,
আমি যে ঢুকে পড়ি তোমার মর্মর বুকে।
তোমার বুকের হৃৎস্পন্দন
জেগে উঠার আগেই
আমি জেগে উঠি তোমার নিশ্বাশে।


যখন পংক্তি মালারা ঝরে পড়ে
তোমার ওষ্ঠ যুগল হতে,
আমি যে তা শুনে যাই বহু আগে
তোমার চুমু খাওয়া ঠোঁটের সাথে মিশে থেকে।


তোমার জৈব জ্বালানির জ্বলন্ত দেহ
যে দূরত্বে থাকে আমার দেহ হতে,
নদীতে ঝাঁপ দেবার আগে
ল্যাংটো ছেলেদের পা আর মাটির সংযোগে
সৃষ্টি হয় যে সংযোগ রেখা,
তার চেয়েও কম সংকীর্ণ রেখায়
আমি যে থাকি তোমার সাথে।


তোমার চোখের জল বিন্দু থাকে
পাপড়ির এত কাছাকাছি,
তবুও আমি নিমেষে পেরিয়ে যাই সে দূরত্ব
তোমার চোখের জল বিন্দু
পাপড়িকে ভেজানোর আগে।


আমার হাত তোমাকে ছোঁবার আকুতিতে
শুরু হয় যে চিরল দূরত্ব থেকে,
আমার বুকের কমনীয় অনুভব
তার আগেই পৌঁছে যায়
তোমার হৃদয়ের ডোরা কাটা দাগে।


তোমার বুকের পারদীয় আয়নার
এত কাছকাছি থাকি আমি,
আমার দেহ বলয়ের প্রতিবিম্ব
সেখানে ফোটার আগেই
আমি পৌঁছে যাই
তোমার পারদীয় অতলে অবলীলাক্রমে।


সেই তো এই তুমি,
যার বুকের সবুজ গালিচা
দেখে ফেলি আমি
অনুরাগের জ্যোতি দিয়ে,
দিবা শেষে রাতের বাসরে
চাঁদের দিপালী জ্বলে উঠবার আগে।


তোমার বুকের নীল জলে
সূর্যের আলো ফোটার ক্ষণে
দারূণ বিষ্ময়ে দেখি আমি,
সেই কত আগে ফুটে গেছি আমি
তোমার বুকে লাল শাপলা হয়ে।


অবশেষে-
তোমার হাতের চুড়ির শব্দ
আমাকে তড়পানোর আগে,
তোমার হৃদয়ের চিলে কোঠায়
বহু আগে বসে আমি
তোমাকে শিহরিত করি চুড়ি বাজাবার।
শুদ্ধ প্রেম-৩