নারী যৌবন এখানে এখন মরা কটালের ন্যায়
পড়ে আছে মৃত সন্ন্যাসিনী হয়ে।


এখানে বুকের লাল গোলাপ নেবার কে আছে,
যখন বুকের রক্ত করবীকে জোর করে কেড়ে নেবার
মূর্খ বাসনায় ওঁৎ পেতে বসে আছে
রক্ত পিপাসুর দল।


নারী যৌবন এখানে এখন মৃত মমিদের ন্যায়
শুয়ে আছে মরণ পাঠশালা হয়ে,
কেননা এখানে এখন আয়ত লোচনা নারীদের
উন্মোন চাহনী
কেড়ে নিবে বলে
মুখিয়ে আছে এ্যাসিড সন্ত্রাসির দল।


এখানে এখন আকাশ মৃত,
এখানে এখন বাতাস সমাহিত।
এখানে এখন লজ্জাদেরও হয়েছে মরণ,
এখানে এখন তাই থমকে দাঁড়িয়েছে ক্রন্দন।


যুবতীদের যৌবন এখানে এখন
বাঁশের জোয়ালের মত চেপে আছে
দুপুরের চঁচালো রোদে ধুঁকে ধুকে চলা
হালের জন্তদের ঘাড়ে;
কখন যেন পড়ে যায়
ত্যাক্ত আর হাড় জিরজিরে
এ সব জীবের গ্রীবা থেকে।


এখানে এখন যুবতীদের মাঝে
অংগুরি নেবার কে আছে,
আছে শুধু ডাষ্ট বিনে পড়ে থাকা তাদের
কর্তীত হাতের আংগুল।
মরণের ফোটা গোলাপ যতইনা দোল খাক
নৃত্য নন্দিনী হয়ে,
সে তো এখন ফুটে আছে
যুবতীদের মাথায় মরণ খড়গো হয়ে।


নারী যৌবন এখানে এখন মরা কটালের ন্যায়
কেবলি পিছু হটে  চলে
ব্যার্থ গোপিনী প্রেম হয়ে।
মাতাল সমাজের ক্রশ ফায়ারে
তার ভয়ার্ত চিৎকার হারিয়ে যায় অতলান্তে।