তোমাকে খোঁজার নব্বইতম
কিংবা শততম অথবা সহস্রতম প্রচেষ্টা
অনেক আগেই আমার হয়েছে বৃথা,
হে অন্তপুরবাসী!


কেশবতীর হারানো মানটিকলির মত
সারাক্ষণ তোমাকেই খুঁজে ফিরি আমি।
এ যেন ধারাপাতের ভুলে যাওয়া নামতা দিয়ে
সারাক্ষণ গরমিল অংক কষে
তোমাকেই খুঁজে পাবার আনিমগ্ন প্রচেষ্টা আমার।


রাত্রি দেহের সব ভাঁজে
কিংবা কালো কালির দোয়াতের সবখানেই
কেবল নিকষ কালোর আবাসন।
তোমাকে খোঁজার আজন্ম প্রয়াশ,
হে অন্তপুরবাসী, একুনে হয়েছে আমার বৃথা।


কোন এক নরম সকালের পরম আমেজে
চিন্তাকুমারীরা সব
গালিচা-নরম পায়ে হেঁটে এসে বলে যায়-
না আছে সে কৃষ্ণ দামিনীর কোন অনুটিকায়,
না আছে সে দোয়াত আঁধারের কোন কৃষ্ণ কোঠায়।
তখন আমার অনুভবের সব খাঁচে
কিংবা বলি রেখাদের সব দাগে অবিষ্কৃত হয়-
তোমাকে খোঁজার সব অভিলাষ
একুনে হয়েছে আমার অবান্তর।


হে অন্তপুরবাসী,
জৈবিক এ দেহে তোমাকে অনুভব করি
দেহের সব উপাঙ্গ দিয়ে।
তুমি চলেছ অনন্তর অবলীলায়
আমার রক্ত নালীর সব শিরা দিয়ে,
অথচ নেই তুমি আমাতে।
এ যেন এক অমার্জিত ধোকাবাজির
মর্মভেদী অনুভঙ্গী।
তোমাকে জন্মান্তরে না পাওয়ার সব ব্যার্থতা
এখন আমার হয়েছে বিবশ মূঢ়তা।