১.নিরস্ত্র বিরহী যৌবন
এখন আমার দিনগুলো
কেটে যাচ্ছে নিরস্ত্রভাবেই।
বুকের পাহাড়ে কান্নার বিরহী অস্ত্র নেই,
পরকীয়ার অহেতুক খনসুটি নেই,
নেই রাত বিরেতের প্রেম পারিজাতকে
আছড়ে মারার মারণাস্ত্রও।
আছে শুধু  ডোরাকাটা পথে
খালি হাতে হেঁটে যাবার আহবান।
মাশুকের হাতে ছেড়ে দিয়ে বিবস্ত্র যৌবন
কেন যে আমি মিছে মরি যখন তখন
বিরহের আগুনে পোড়া অস্ত্রের মহড়ায়।


২.মিছে মৃণালিনী
মশকে এখন পানির বড়ই হা হা কার
খর্জুর বৃক্ষের ফুটো ছাতাতেও
রোদের বেরহম ব্যাভিচার।
কার উদোম চোখে কে বেড়ায় হেঁটে
মায়া মৃণালিনী হয়ে।
রোদের হলকায় এখন রক্ত বমন।
কারো চলনে উদ্দাম গতি,
কারো আকুতিতে বুক ফাটা পানি,
হে মিছে মৃণালিনী!


৩.ফুটপাথ দখল
হকারের দখলে ফুটপাথ ছিল,
সেই ছিল ভাল।
চোখের বিবরের ফুটপাথ
হয়ে গেছে লোনা জলের দখলে।
খসে পড়ে জলের মুক্তো
জলজ ফুটপাথ হতে।
কুরলীর ঠোঁটে কিসের আহবান?
ফুটপাথ, ফুটো হৃদয়
নাকি মন ও মনন।


৪.চম্পট স্মৃতি
আসে, ভাসে, হারিয়ে যায়।
আবার আসে আবার যায়।
আয়নায় পারদের তিরস্কার,
চম্পট স্মৃতিদের ধরতে না পারার।
টুপ টাপ গড়িয়ে পড়া পানি,
সেখানেও স্মৃতিদের কানাকানি।
এসেও নেই, অধরা সেই।