খেয়া ঘাটের মাঝি।
ঘাট আর খেয়া,
খেয়া আর ঘাট-এই তো তার জীবন।
আজন্ম শিক্ষার আঁচড়হীন
সে এক জব্বর আলি।


পানি যে হয় জল,
কিংবা জল যে হয় সলিল,
এত কিছু তার নেই জানা।


একদা এক বাদল দিনে-
ঘাটের পানিতে শুরু হলো আচমকা নাচন।
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির তেরছা দৌড় হলো শুরু।
পুঠি মাছেরা কি যেন কি যোশে
চললো সদলবলে ছুটে।
মেঘের ডাকেও তখন কিসের যেন ঘুংগরু।


ওদিকে নৌকার দাঁড়ে তখন বাজে ছলাৎ ছলাৎ জলতরঙ্গ,
আর নদীর পাড়ে আম জাম কাঁঠালের বনমুখি
সারি সারি পাখ-পাখিালিদের ঘরে ফেরার মেলা।


খেয়া নৌকায় তখন বসা পাড়ার খগেন ডাক্তার।


কহে, জব্বর আলি-
বাহে, এ ক্যামন খ্যাপা খ্যাপা ভাব।
মনটাও যে বাপু আমার করিছে ক্যামন।
বলে খগেন ডাক্তার-
কাকাগো, এ যে তোমার কাব্য দর্শণ।