কেন যে নিশিথ নামে,
নামে কঠিন নীরবতা।
আমি যে তার কৃষ্ণ মাদুলি পরে
বুঁদ হয়ে থাকি একা।


চলে আসে নিবিড় আসমান
সেই কৃষ্ণ আঁধারে।
বলে, দ্যাখতো সেই তারকাটির মুখ,
যে তারা খসেছিল এক দিন
দেহ হতে মোর
এই কি তোমার সেই চেনা সুখ?


বিক্ষিপ্ত হয় মন,
খুঁজি সারাক্ষণ।
আকাশের কোনো এক জ্যোতির্ময়ী,
একদা কখন হয়েছিল সে প্রেমময়ী।
চুমেছিল এসে মোর প্রেমের ললাট
এখন পাইনা তারে খুঁজে  
এ যে মোর বিধির বিভ্রাট!


ফিরে যায় আহত আকাশ
বলে সে-
এই কি তোমার সেই অনুপ্রাস
যাকে তুমি করেছিলে প্রণিপাত।
তবে এই ঘোর তিথি যামে
কেন তারে খুঁজে করছ প্রাণপাত?


আকাশ করে প্রস্থান,
হয় সমুদ্রের আগমন।


বলে মহা জল রাশি-
এত কাল এত মহাক্ষণে
করেছ যে প্রেম নিবিষ্ট মনে,
একদা যা তুমি ঢেলেছ আমার গহীন জলে,
দ্যাখতো খুঁজে পাও কি তারে
আমার এই অগাধ জল রাশির তলে।


বিস্মরিত প্রেমের স্মৃতি
দুমড়ে করে আকুতি,
চমকে দেয় মন।
তারপর-
কেঁদে করে নষ্ট বিলাপন।


আমি যে নষ্ট-ভ্রষ্ট পাপি।
যে প্রেম কালের আঁচড়ে
হয়ে গেছে মৃত মমি,
মিছে কেন আজ আমি
সমুদ্রের ডাকে তারে শুধু ভ্রমি।


শেষে  একে একে চলে
স্মৃতির রোমন্থন,
মহা সমুদ্রের মহা সিন্ধু জলে
চলে জল কেলন।
শেষে যখন শেষ হয়ে হয় সব শেষ,
সমুদ্র রোমন্থনের কাটে তখন রেশ।


জলদ গম্ভীর স্বরে বলে সিন্ধু-
খুঁজেছ আনেক জলের বিন্দু।
প্রেম পাতকেরা কেন যে এসব খোঁজে,
হায় প্রেম পাতক!
হায় প্রেম খাতক!!
খোঁজ তোমার সেই প্রেম মরু বালুকার ভাঁজে।


বিশুদ্ধ প্রেম-৩