আনাড়ি আবেগে মোহিত হই কখনও কখনও,
ঘোর কেটে গেলে হই সলজ্জ ।
ভুল ভেংগে ভেংগে
ভুলের বাসরে সারা রাত কেটে
উদয় হয় আরেক ভুলের সকাল।
নরম সকালের পরম শ্রান্তিতে
শুরু হয় নতুন আনাড়ি আবেগ।


মানুষে মানষ গড়ার আবেগ
প্রখর হতে হতে
কটিবদ্ধ হয় সমাজের।
অতঃপর ভেংগে ভেংগে
খান খান হয়ে যায়
আনাড়ি আবেগ ভেবে।


মকর চোখের ছানিতে ভাসা মূমূর্ষ দৃশ্যপট
আবারো পরখ করি আনাড়ি আবেগ দিয়ে।


হেঁটে চলে আনাড়ি আবেগের মিছিল
রাতভর কানাকানি কোরে অজুৎসই
বিভুল বিভূঁই পথে।
প্রকৃতি চরাচরের বিশুদ্ধ বাস্তবতাকে
হাঁতড়ে আর সাঁতরে ধরতে গিয়ে
চোরা গলির রন্ধ্র পথে হারিয়ে যায় সে।
আনাড়ি অবেগ মাড়িয়ে যায়
আগুনে পোড়া কবিতার লাইনের মত।


চরম দারিদ্র সীমার নিচে নেমে যায়
আনাড়ি অবেগের সব উচ্ছাস
নব্য ধনী হয়ে ওঠা আবেগের কুহেলিকায়।


হ-য-ব-র-ল-৩
( কবিতাটি “উত্তরায়ন”-এর তৃতীয় সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে)