একদা এক কবি
মনের বিশুদ্ধ চারণ ভূমি,
যেখান থেকে লিখা হয় কাব্য,
সেখানে খেয়ে কী এক স্ফুলিংগের তাড়া
লিখে ফেললো নাকি
রাজদ্রোহী সব অশ্রাব্য।


কবির কর্ম শেষ!
বললো রাজ-যন্ত্র,বাপু হে-
ঘুঘু দেখেছ, দেখনি ফাঁদের রেশ।


বেচারা কবি গলায় পেঁচিয়ে শ্বেত বস্ত্র
ঠেকিয়ে কপালে তার দু’হস্ত,
বলে- দোহায় রাজন
আমি যে হৃদয়ের কবি,
হৃদয়ের তেজারতি ছাড়া
কলমে আমার আঁকেনা কোনো ছবি।


ডান্ডা দেখিয়ে
পুলিশের বড় কর্তা বলেন-
ভায়া হে, এ যে রাজ দণ্ড।
ঘুঘু পাখির বাসায়
না গেলে এবার বাধবে বিরাট কান্ড।


গারদে হলো কবির নিবাস,
মনের অজান্তেই কেটে গেল কয়েক মাস।
একদা এক রাতে কঠিন স্বপন দেখে,
কবি উঠলো জেগে।
একি! প্রিয়তমার মুখ খানা যে মলিন।
বিবর্ণ, বিদগ্ধ, আর লাবন্যহীন।


কেঁদে উঠে কবি
হাঁতড়ে চলে খুব-ই
এক খন্ড কাগজ, এক টুকরো পেন্সিল।
লিখতে হবে প্রিয়তমাকে
মনের আকরে পড়েছে যে স্বপ্নের সিল।

এর নাম গারদ।
এখানে মনের পারদ
নামেনা কভু হীমাংকের নিচে।
কবির আকুতি উদ্গত হয়ে
গারদের কড়ি কাঠ বেয়ে
মিলিয়ে গেল গারদের খাঁচে।


না পেল সে পেন্সিল, না পেল কাগজ।
মস্তক বেয়ে
গলে পড়ে যেন তার বিরহী মগজ।


এবার কবি,
মনে গেঁথে নিয়ে প্রিয়তমার ছবি।
লেখে মনের শ্লেটে-
“প্রিয়তমা, প্রিয় চন্দ্র বধু
ভালোবাসা নিও, নিও বুক ভরা মধু।
এখানে মানুষ বোঝেনা মানুষের মন,
এখানে রাজ আজ্ঞা হৃদয় করে হরণ।”


শুদ্ধ প্রেম-৫