পড়ন্ত বেলা,
উর্বশী ঘাটে চলে একেলা
কুমারি কুসুম পদভরে,
ধনুক কটির বক্র জ্যা-এ
শূন্য কলস নটিনী উদাস ঢংগে
মৃদু খেলা করে।


ঘাটের সিঁড়িতে দেখা
সেই কবে হতে বসা,
কবেকার সেই বাবরি দোলানো যুবক।
তরলা বাঁশের বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে
করুণ সুরে কাঁদিয়ে চলেছে জগৎ।


যুবতীর জগৎ বলয় কাঁপে,
কাঁপে দেহ পিঞ্জর।
করুণ সুরের আর্তনাদে
বুকে বিঁধে খঞ্জর।


পিনোন্নত বুক পিয়াসে পিয়াসে
হয় পিয়াসিত,
হৃদয় দস্তানায় ব্যাকুলতা জমে
বাঁশির মুর্চ্ছণায় হয় মুর্চ্ছিত।


যুবতী চাপে বুকের বেহাগ বাদন,
যুবকের সুর দুর্দমিত হয়ে
বুকে তার ছড়ায় ক্রন্দন।


যুবতীর যৌবন ফেটে পড়ে,
বুকের মিহিন তারে জড়ানো হৃদয়
ক্ষণে ক্ষণে বিরহের অনুভবে নড়ে।


হায়রে যুবতীর মন!
করুণ বাঁশির সুরে
বেঘোর আত্মা যে তার
হয় উদাস, হয় উচাটন।  


বিশুদ্ধ প্রেম-১১