বিষন্ন স্বপ্নের ঘোরে যখন আমি তাকে দেখলাম
মনে হলো আমার--
কংকাল দেহে দাঁড়িয়ে থাকা ফাঁসীতে ঝোলানো এক দ্বিচারিনী।  
নিরন্ন, বিষন্ন, অতঃপর অবসন্ন-সব বিশেষণই
এখন তার আলম্বিত দেহের নিন্দিত ভূষণ।
কবে, কখন এসেছিল তার এই দেহে ফুটনন্ত যৌবন
আর এ্যাসিডের মরণ ছোবল কখন তার মুখে এঁকেছে জগতের মানচিত্র,
তা কেবল সময়ের সিপাহসালাররাই জানে।


ওর ঠোঁটের একাংশের উড়ে যাওয়া মাংস ওর দাঁতগুলোকে করেছে
সিমেন্টের আস্তরণ খোলা সাদা ইটের প্রকাশ্য অবয়ব।
ওর গলাতে ঝুলে থাকা ঝুলঝুলে চামড়াপিন্ড দেখে মনে হয়
জানোয়ারের কামড়াকামড়ি কোরে ফেলে যাওয়া অমসৃণ মাংসের দলা।    


চোখের উপরের পাতাগুলো ঝুলে যখন ওর আয়তকার চোখগুলোকে
কোরে তুলেছিল সংখের ভিতর লুকিয়ে থকা ভীরু শামুকী,
তখন সে কার যে কন্যা, আর কার যে যায়া
কিংবা কোথায় তার রুপের জ্যোতি আর কোথায় যে তার কায়া;
এখন আর তা জানেনা কেউ।


চাঁদ ডুবে গেলে পড়ে থাকে আঁধারের মলিনতা
কংকালিনী মেয়েটির দেহে এখনও এ্যাসিডের দগদ্ধতা।
বিবেকের পুরিয়াতে বিষের উপাদান এখন সময়ের ভূঁইফোড় আগ্রাসনে
চিত্রা হরিণীদেরও বধ করে।
নরকের সেনাকুঞ্জে থাকা বিকৃত ব্যাভিচারীরা মাতৃত্বের পবিত্রাকেও
করে নির্লজ্জ অপমান।


হ-য-ব-র-ল-৮