নদীর মধ্যখানে জেগে থাকা ভাংগা নৌকার মাস্তল
চৈত্রের দাপিনী তাপে, ভর জোয়ারে, রাত্রির ডুকরে কাঁদা আঁধারে
সব সময় ফ্যা ফ্যা করে তাকিয়ে আছে প্রকৃতি জুড়ে।


বিরোধের বাংলাদেশ, প্রেম ভাংগার বাংলাদেশ, জীবন বধের বাংলাদেশ
সব কিছু খঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখার অভ্যেস এই বেহায়া মাস্তুলের।
নরকে এর জায়গা নেই, পরকীয়ার জমিনে এর ঠাঁই নেই,
এমনকি ঠাঁই নেই জলাধারে প্রেম কেলির অগাধ অভয়ারাণ্যেও।


মৃত্যুহীন অশান্তি আর বেশ্যা গৃহের অশ্রাব্য খিস্তি খেউর শোনার
পুরু পলিস্তর দেহে ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে
ভাংগা নৌকার এই বেহায়া মাস্তুল।
নদী, নারী, প্রেম, পরমতসহিষ্ণুতা, বাতাসের স্নিগদ্ধতা
সবই যখন দ্রোহ,
এর সব কিছুই বরণ করে চলেছে এ কুলাংগার মাস্তুল।


খুলে পড়া নাকের ফুল, জারজ রাজনীতি, জবাই করা নারী শ্রমিকের দেহ,
প্রতিযোগীর থেতলে যাওয়া শরীর সবই দেখে চলেছে এই মাস্তুল;
আটোসাটো আর নিভাঁজ নারী দেহ দেখার নির্লজ্জ খায়েশর মত।


চাঁদনি চকে মাতম, মাতৃকোলে হাহাকার,
সাবিত্রীকে কাছে পাবার আহাজারি,
মিছিলের মরা কান্না, গুমের নির্ঘুম গোংগানি
এখন এই মাস্তুলের ভাংগা নৌকার গা সওয়া সহযাত্রী।


হ-য-ব-র-ল-৯