তুমি কি কখনও বঙ্গ সাগরে পেতেছ কান?
কত নীল আকাশের দ্বিগন্ত, সমুদ্রে পেতে শয্যা,
অবিরত তোমায় বাহু মেলে করছে আহ্‌বান।
তুমি কি দেখেছ ককস্ বাজারের বালুময় তট?
কত শ্বেত বালুকার কণা বুকে নিয়ে
আগলে আছে সে আদিগন্ত শ্বেত চাদরের পথ।
যখন তুমি হেঁটে হেঁটে নরম পায়ে
হয়ত খোলা আসমান, উদোম গায়ে
ছুটে যাবে ভেংগে ভেংগে সেই বালুময় পথ,
তখনি তোমার গায়ে বুনো হাওয়া তেড়ে এসে
দেখাবে তোমায় ঢেউ ভাঙ্গা সেই তটিনী তট।

এরপর তুমি চলে যাও টাংগুয়ার বিলে,
দেখবে সখানে পাখিরা রয়েছে মিছিলে।
কী নিদারুণ ছন্দে ওঠা নামা করছে তারা,
সেই দ্বিগন্ত জোড়া আকাশ আর স্বচ্ছ জলে।
তখন তোমার ভাববার সব দ্বার হয়ে যাবে রুদ্ধ,
শুধু একটি দ্বারের একটি রন্ধ্র রবে খোলা,
বাকিরা নিবে বিদায়, হয়ে যাবে সব বন্ধ।


যদি কখনও তুমি যাও বেহুলা লক্ষিন্দরের
রক্ত-মাটির মহাস্থান গড়ে,
দেখবে সেথায় মনষা দেবীর শাপে ম্লান হওয়া রাজভবন
এখনও ধুকে ধুকে পাড়ে আছে কঠিন মৃত্তিকার ’পরে।
কবেকার স্মৃতি এখনও রয়েছে অম্লান,
তবুও মহাস্থানগড় বুকের হীমাগারে রেখেছে তা ধরে ।


ডাকে বাংলাদেশ, ডাকছে তোমায়।
এস, দেখে যাও, দ্যাখ সে কত যে কাব্যময়!


দেশ প্রেম-৪