সেই আদিকাল হতে, এখানে এই বাংলাদেশে
আকাশ আকাশে করছে ভ্রমন,
কদাচিৎ নিচে না নেমে, এখানে এই দেশের নারীদের
করে চলেছে অবলোকন।
কৈশরে নারী তুমি কার?
পৈতা গলায় সমাজপতিরা এখনো চলেছে বলে,
তুমি যে কেবল বাবা মা’র, কেবলি বাবা মা’র।
কৈশর ছেড়ে যৌবনে দিয়ে পা, হলে তুমি আকর্ষণীয়া
এরপর মাথায় সিঁদুর দিয়ে অথবা কলেমা পড়ে
বীর দর্পে কেউ একজন গেল তোমার অধিকার নিয়া।
তারপর হলো তোমার ঘর।
একে একে তুমি হলে যায়া, জননী, গৃহিনী-
চললো এই ধারা জনমভর।
আকাশ আকাশেই রইল ভ্রমন করে,
নারী তোমার অর্ধেক জীবন নিয়ে গেল সে
জীবন খাঁচায় ভরে।
এবার তুমি হলে কিশোর কিশোরির মা
নগন্য উল্টো কিছু পেলে বলে তারা-
বাবা, মা যেন কেমন, তুমি দেখেও দেখছনা।
আরো পরে তোমার ছেলেরা উঠে এল যৌবনে
পিতার স্থলে চলে এল তারা,
কথায় কথায় বলে, মা বলছ এসব কি ক্ষণে ক্ষণে।
শেষে তুমি বয়সের খাঁচায় হলে বন্দি
বাবা যা বলে ছেলে-মেয়েরা বলে দশ গুন,
জীবনের সাথে করতে হলো তোমায় সন্ধি।
শেষে, লিখলে সৃষ্টিকর্তা হয়ত বা কা’বা ঘর
কিংবা গয়া অথব কাশি,
নয়ত মরে গিয়ে তুমি আকাশের মত হয়ে গেলে বাসি।


জীবন-৫