অসিত বরণীর সেই লাল টুকটুকে হাসি দেখে
একদা আমার যমুনার পাড় ভাঙ্গা শেষে, পদ্মার পাড়ও
হতে চললো বিলিন।
ত্রিধার ত্রিশূল হাসি একে একে ব্রহ্মাগামিনীর ন্যায়
আমার কপোতাক্ষ, মধুমতি আর বড়ালের তীরেও
তুললো তোলপাড়, চললো তার চিত্রা হরিণী গমন।
ক্ষণে ক্ষণে ক্ষিতিতে আমার কৌমুদী কিশলয়
উঠলো ফুটে।
আলোড়িত মন, করলো উল্লম্ফন,
ফাগুনের চিরচিরে হাওয়ায় হলো প্রণয় মগন।
নারঙ্গী বনে উচ্চকিত হলো একতারা,
জীবনে জীবন হলো আত্মহারা,
ছুটলো সব অমিয় ধারা।
কনীয়সী কন্যা কামিনীর মলয় সমিরণ
একে একে হৃদয়ে ফুটালো যেন সরসিজ কানন।
শেষে কেটে গেল ঘুম, চেয়ে দেখি শয়ানে নেই
অসিত বরণী, কখন যে হয়েছে তার তিরোধান।
ঘোলা চোখ, গাঢ় বরণ, দৃষ্টি গোলকে অবিশল্যভাব,
তবুও বেনারশি হাসি কামদানি হয়ে রইল পড়ে,
নিয়ে বেনারশি হাসির গুলাব।


বিশুদ্ধ প্রেম-১৯