নম্রতা তোমায় ডাকি, ডাকি অন্তর দিয়ে।
বিদগ্ধ সকাল, ব‎হ্নির উনুনে পোড়া দুপুর
কিংবা শাপ রাত্রির নিশা কেটে তুমি বেরিয়ে এস, দাও ধরা।
আছি তো আমরা মাঘেও যেমন
চৈত্রের ঘন তাপ কিংবা নরম বর্ষা
সব ঋতুতেই দ্রোহী আছি আমরা আগের মতন।
ভদ্রতার সব কাঁড়ি কাঁড়ি বুলি
আজ যেন বেহায়া বারবনিতার তপ্ত ঠেঁটের মত
চুমুর আদলে দিয়েছে আমাদের মুখে এঁকে
অপবিত্র  রঙ্গের তুলি।
নম্রতা, আজ তাই তোমাকে বেশি মনে পড়ে।
সূঁচের ছুচালো আগার মত তীক্ষ্ণভাবে
নম্রতা, নম্রতা তোমাকে পেতেই বুকের বাঁধন ফোঁড়ে।
নম্রতা তুমি এস বৈশাখ থেকে চৈত্র সব ঋতুর ভিড়ে
আমাদের দ্রোহী হাত, বাচাল মুখ কিংবা উগ্রতার
দন্ত নখর ছিঁড়ে।
তোমাকে বুকে জড়াব বলে আমরা ক’জন
বসে আছি আজ তপ্ত কড়ায়ের জঠর জড়ায়ে,
নম্রতা এস তুমি, কর শাপ মোচন, আমাদের এই
আবক্ষ নিরেট জগৎ বলয়ে।


হ-য-ব-র-ল-১২