কাঁড়ি কাঁড়ি স্বপ্নদের আমি খুঁজেছি হন্যে হয়ে
যদিও বেশ বুঝে গেছি আমি,
স্বপ্নরা এখন মরফিন নিয়ে
ঘুমের সাদা চাদরে লুকিয়েছে মুখ।


স্বপ্নদের আর দোষ কী?


রাত বিরেতের অলি গলি হেঁটে,
কত সাধু শয়তানের আস্তানায় ছুটে,
অনেক পীর মাজারের শিরনি মানত খেয়ে,
নমস্য সব রাজনীতিকদের পায়ের ধুলো
মুখ আর কেশ দামে মেখে,
শেষ মেষ কত যে রাতের সুহাসিনীদের তাড়া খেয়ে
তারা এখন নব বধূর উত্তপ্ত মধু চন্দ্রিমা শেষে
ঘুমিয়ে পড়েছে বেহাল হয়ে।


কাঁড়ি কাঁড়ি স্বপ্নরা এখন ঘুমে অচেতন।
যদিও এদিকে বসেছে বহিমিয়ানদের খ্যামটা নাচের আসর,
বসেছে বৃক্ষ কোপানোর মহৎ উৎসবে মানুষ কোপানোর আসর,
বসেছে বুলন্দ জনতাকে লাঠি পেটানোর আসর।
যতই ডেকে চলি স্বপ্নদের
জানি তারা আর জাগবেনা।
এই তো সেই আমার কাঁড়ি কাঁড়ি স্বপ্নরা,
যারা দিনের বেলায় ঘুমিয়ে পড়েছে
রাতের নিদ হারা দেহ সর্বস্বিনীদের মত।
শুভ হোক তাদের ঘুম!


চিক চিকে বালুতে টিকেনা ঘর।
স্বপ্নরা আমায় বলেছিল,
আমি বিশ্বাস করিনি।
লাশের উপর হেঁটে চলা, মূর্খ রাজনৈতিক প্রেম।
স্বপ্নেরা আমায় বলেছিল,
আমার অনুধাবন হয়নি।
এখন মালা বদলের মালা হাতে আমার ভেঙ্গেছে প্রেম
খ্যাপা তরুণীদের কাঁধে হাত রেখে।


কাঁড়ি কাঁড়ি স্বপ্নেরা এখনও রয়েছে ঘুমে।
সরবতের পেয়ালা ভেঙ্গে
এখন আমার হাতে উঠে এসেছে শরাবি পেয়ালা।
ষোল কোটি, বিশ কোটি, ত্রিশ কোটি পেয়ালার
এখন যে বড়ই দরকার আমার!