হেঁটে চলেছিলাম রেল ক্রসিং দিয়ে,
দ্রুত এবং কিছুটা ভয়ে।
কেননা এখানে আসলেই আমাকে মৃত্যু ভয়
তেড়ে আসে, তেড়ে আসা ট্রেনের মত।
হঠাৎ শুনলাম কে যেন ডাকছে পিছন থেকে।
বলে, চাচ্চু আমায় ক’টা টাকা দেবেন।
ভাবলাম এ তো রোজগেরে ঢাকার জিগির।
এখানে হাত, পাত, থালা সবই চেনা বামুনের পৈতার মত।
সোজা হেঁটে চললাম সামনে কানের পর্দায় কুলুপ এঁটে।
আবারো সেই ডাক পিছন থেকে-
চাচ্চু, আমায় ক’টা টাকা দিবেন।
ভাবলাম একবার পিছু তাকাই।
কিন্তু কারো গাড়ির বেহদ্দ চিৎকারে সেই চাচ্চু শব্দটি গেল উবে।
আবার চলা।
কে যেন ডাকলো আবারো, চাচ্চু, আমায় ক’টা টাকা দিবেন।
পিছন ফিরে দেখি ট্রেনে বাদাম ফেরি করত সেই ছেলেটি।
এই ট্রেনই তার হাত দু’ট নিয়ে গেছে অবলিলায়।
দেখলাম হাত দু’ট তার নেই, গায়ে জড়ানো ছেঁড়া শার্ট।
টাকা দিতে চাইলাম, সে বাড়িয়ে দিল বুক।
শার্টের বুক পকেটটি এখন তার হাত।
আমি টাকা দিলাম,
হাঁটলাম,
কাঁদলাম।
চোখের পানি ঝরালাম সেই ব্যাস্ত রাজপথেও।


জীবন-৬