একা নয়, পাড়াশুদ্ধ লোকে, বলল একে একে
এই ছেলে বড় হবেই, হবে সে অনেক বড়।
লেখা পড়ায় তার আকাশ ছোঁয়া নেশা,
আর জ্ঞান প্রদীপটাও বেশ গাঢ়।


একা নয়,স্কুলশুদ্ধ সবাই, বলল একে একে
ছেলেটির রেজাল্ট মানেই অতিশ দিপংকর।
আঁধার করে দূর, ছড়াবে সে আলো
যেমন কিরণ ছড়ায় গগন দিবাকর।


এবার কলেজশুদ্ধ শিক্ষকেরা বললেন একে একে
ছেলেটি তো বেশ, সে যে জ্ঞানের প্রদীপ।
অতুলনীয় তার গুরু ভক্তি,
আর ফলাফলটাও তেমন জ্যোতির্ময় সুদীপ।


এবার বিশ্ববিদ্যালয়শুদ্ধ ঝাঁকে ঝাঁকে এল অপ্সরিরা
বলল, যুবকটি যে প্রাণ কাড়া, দেহের জ্যামিতিটাও বেশ
হৃদয় ভুগোলে বংগ সাগর
চোখ জুড়ে তার ছুটছে যেন রঞ্জন রশ্মির রেশ।


এবার বিশ্ববিদ্যালয়শুদ্ধ নয়.
অপ্সরিদের একে একে এল নিবেদন,
লেখা পড়া উঠলো শিঁকোয়,
টিএসসি আর ক্যাম্পাস জুড়ে চললো হৃদয় হরণ।


শেষে খাতায় পড়লো সাগর জল,
রেজাল্ট হলো টালমাটাল।
আসলেন বাবা, একা নয়, জননীসহ,
সয়ে জীবনের চরম ধকল।

বললেন বাবা, আব্বুজান, রেজালট এত খারাপ কেন?    
মা বললেন থাম, দেখছনা, হয়েছে তার মস্ত ব্যাম।
বাবা বললেন হেসে, ব্যামটি কঠিন বটে,
তবে ক্যান্সার নয় যে, নিতে হবে কেমো।


জননী বললেন কেঁদে, এখন উপায় হবে কী!
বলনাগো সোজা করে, করছ কেন ছলা কলা?
জনক বললেন নিশ্বাস ছেড়ে,উপায় দেখিনাগো,
তবে আছে একটি উপায়, সেটি হলো বট তলা।


হ-য-ব-র-ল-১৬