একদা কৌমার্যের নির্ঘন্ট সুখ নিয়ে অরুন্ধতি বাসনাগুলো
লজ্জাবতী অবগুন্ঠন ভেঙ্গে ফুটি ফুটি করছিল।
কৌরব ভেঙ্গে করবী হবার নির্মোহ প্রয়াশে আর
শ্রাবনের শ্রাবন্তিকা হবার আরাধনায় ছিল তারা লিপ্ত।
এখন সময়ের চাঁচালো রোদে সেই অরুন্ধতি বাসনাগুলো
ক্রমে ক্রমে বিবর্ণ হয়ে যুবতীর বিদ্ধস্ত যৌবনের ন্যায়
চলে গেছে জরাসন্ধ কারাগারের অন্তরালে।
মানুষে মানুষ গড়ার আবেগ, সমাজে সমাজ নির্মানের ভাবাবেগ
কিংবা দারিদ্রতা ভাঙ্গার ত্রৈমাত্রিক বাসনা, ক্ষুধা সরানোর শারদীয় ভাবনা-
এসব অরুন্ধতি বাসনাগুলো আজ লাশ কাটা ঘরের কবন্ধ শব দেহ।
আশার কাননে এখন উনুনে দহন,
নিরাশার ভুবনে এখন বহ্নি বিশ্বায়ন।
তবু জেগে রয় অরুন্ধতি বাসনাগুলো ল্যাম্প পোষ্টের মত
রাতের আঁধার শেষে দিনের আলো ফুটবার অপেক্ষায়।


হ-য-ব-র-ল-১৮