সে ছিল বকুল তলায়        সময়টা ছিল বিকাল বেলায়।
      সে ছলি প্রায় নিরাভরণ         তবুও তার রুপের গড়ন,
    ছাপিয়ে পড়লো বস্ত্র হতে         দেখেলাম আমি দূরে থেকে।
কাছে আসতে তার দু'টি চোখ        করলো যেন আমায় ক্রোক।
       ভ্রমর কালো দৃষ্টি দিয়ে        কি জানি কি বলতে গিয়ে,  
    ব্যাকরণে নেইে যে এমন        করলো সে যে কিছু আচরন।
         বুঝেও আমি না বুঝি         ভাবলো হয়ত সেই কৃষ্ণাক্ষি,
        অবুঝ এই যুবক দিয়ে        হবে কি আর আমার ইয়ে।
      হঠাত দেখি উল্টো ঘুরে        চোখ নিল তার বন্ধ কোরে।
   আমি কি আর করতে পারি        বুঝওে বুঝেনা এই কিশোরী।
      ধীর পদে চললাম যখন         কিশোরী দেখি ঘুরলো তখন,
   আবার চোখের ভাষা দিয়ে        মনযোগটা আমায় দিয়ে,
     নিলো আমার মন কেড়ে        পদযুগল মোর পড়লো গেড়ে।
  আমার চোখওে বিদু্ৎ তখন        খসে পড়ছে অনুক্ষণ।
   তাকাতেই তার কৃষ্ণ চোখে        ভেসে গেলাম কি জানি দেখে।
  ভাবলাম তখন এমন কি হয়        চোখে চোখে ভাব বিনিমিয়।
         বাক্য সেথায় নিরর্থক        চোখের কথায় কথা হোক।
দেখি চোখে তার একটি পলক       চোখের মাঝে নাচলো গোলক।
আমার চোখওে বোবা জ্যোতি       কঠিন জোরে নাচলো নাকি।
     কোথা থকে কোন্‌ বলয়ে        ছুটলো মোদের নেত্রালয়ে।
    চোখে চোখে তার অনুরণ        জুড়িয়ে গেল দেহ মন।
   একটি আঁখির তারার লাগি       বৃটশি রাজ সিম্পসন নাকি,
         হয়ছেলি যে প্রেমাগত       সেই ইতিহিাস হয়েছে গত।
      এখন তবে এই কিশোরী       নতুন প্রেমে প্রাণ সঞ্চারি,
     আঁখিতে তার সাগর এনে       আমায় যেন চলছে হেনে।
বকুল তলার এই মহুর্ত ক্ষণে       দেখছি আমি তার দুই নয়নে,
    ফুটছে এক প্রণয় জ্যোতি       আমার চোখেও যে হরষ দ্যুতি।
      হঠাৎ আমি রওনা দিতে       আমার চোখে চোখ দু্'টি রেখে,
ছড়য়ি দিল সে মায়া আকুতি      নড়লো না মোর চরণ দু্'টি।
    তাকিয়ে দেখি অশ্রু রেখা       ঝরছে হয়ে তার নয়ন ধারা।
     এবার আমার দুই নয়নে       ছুটলো পানি আষাঢ় শ্রাবনে।
   বুঝে গেল সে আমার কথা      এইত হলো কৃষ্ণাক্ষি কথা।