রাত্রির নির্মোক ভেঙ্গে চলে আসে আকাশ
বলে, ঘুমিওনা, আমার তারাদের দেখ,
তরাবাতি ধান ক্ষেত হয়ে,
কত বছর এরা কাটিয়েছে তোমার সাথে।
তোমার মেদহীন মনের গহ্বরে এখনও সেই আমি
পড়ে আছি পদাবলীর মধু চরণ হয়ে।
এরপর আসে পদ্মা, আসে অথৈ ষোড়শীর মত
বলে, আমার জলের সিঁড়িতে নেমে করেছ তুমি স্নান,
তবুও জনান্তিকে রয়ে গেছে তোমার মন।
ভুলেছ কি তুমি, আমার জলের প্রেমাষ্পদি ভালবাসা
আমি যে তোমার এলোমেল মনের কাটাই নিরাশা।
এরপর আসে যমুনা, রাই যমুনা তটিনী হয়ে
বলে, বিরহ দেখেছ, প্রেম দেখনি, দেখনি প্রেমের ধারা
জীবন দেখেছ, যৌবন দেখনি, আমি যে তোমার প্রেমপারা।
এবার খল খলিয়ে হেসে উঠে চাঁদ, করে আলাপন
বলে, বাংলার আকাশ দিয়ে, বাংলার সিঁড়ি বেয়ে
চলে আসি আমি তোমার চোখের দ্যুতি হয়ে।
দ্যাখ, চোখ মেল, মধু কিরণীর মত, কত মধু নিয়ে
চলে আসি আমি, বাংলার প্রান্তর বেয়ে।
এরপর কানে শুনি মলুয়া সমিরণীর সোঁ সোঁ করা ডাক
বলে, এখনো আছ তুমি ঘুমে, মধু মালতি হয়ে এলাম
বুকে আমার সাত সমুদ্রের ডাক,
আমার গায়ের তাজা পরশ নিয়ে কাটাবেনা তুমি মধু রাত?
এবার আমার হৃদয় ভুবনে উঠে আনন্দের ঝড়,
সে ঝড়ে মন নাচে, নাচায় দেহ, করে তোলপাড়।
শেষে আমি মোহিত হই, মহুয়ার মত হয় মন,
উদোম দৃশ্যের পালা বদলের পালায়
ঘুমের নিদ্রাবতী তখন করে ক্রন্দন।


দেশ প্রেম-৮