অমার মেয়ে নিশি, সেই কবে হতে ধরেছে জেদ
যাবে সে গ্রামের বাড়ি, না হলে সে আমার সাথে দেবে আড়ি।
মিললো শেষে অশ্বাস, ছেড়ে তার নিশ্বাস, ছুটলো মুখে তার কত যে সব গল্প গাঁথা।
বাবা বাড়িটা কি তোমাদের নদীর পাড়ে, ভরা কি তা ফুলেরর ঝাড়ে,
আম কাঁঠালের গাছ আছে কি সেথা?
বাবা, তোমার ঘরের ধারে, বলেছিলে তুমি গর্ব ভরে,
আছে বিরাট কাঁঠাল গাছ, অনেক পাখির বাসা আছে তথা।
শুনে এসব ক্ষণে ক্ষণে, গিন্নি নিল বিপদ গুনে, বললো শেষে,
কাজ নেই গিয়ে তোর সেথা।
কী দারুণ সংকট, মেয়ে আমার কেঁদে ভাসিয়ে, চেহারা করলো প্রকট,
বললাম এবার আমি, কান্না কাটি তোমার বৃথা।
আছিতো আমি, ব্যাবস্থাটাও হয়ে যাবে জানি, তাই লক্ষি মেয়ের মত,
কেঁদে নষ্ট কোরনা মাথা।
শেষে এক দিন, বাজলো মাহেন্দ্র ক্ষণের বীন,
দিলাম রওনা স্বপরিবারে গ্রামে, পেতে গ্রামের বাড়ির দেখা।
কেটে গেল রাত, এল শুভ্র প্রভাত, মেয়ে আমায় ধরলো ছেঁকে,
বাবা চল কাঁঠাল তলায়, পাখির বাসা আছে যেথা।
নাছোড় মেয়ের টানে, চললাম কাঁঠাল তলার পানে,
তারপর মনে হলো সব যেন বৃথা।
বললো আমার মেয়ে, বাবা তোমাদের গাঁয়ে, এই কাঁঠাল গাছে,
পাখির বাসা দেখি, পাখি  দেখিনা সেথা।
শেষে ডাকলাম ছোকরা এক, বললাম গাছে ওঠ, দেখ সেখানে
দেখা যায় কি কোন পাখির মাথা?
উঠলো ছেলেটি গাছে, মাত্র কয়েক লাফে, তারপর বললো সে,
কাকা, সেখানে পাখি নেই, পালক আছে রাখা।
বললাম আজ যেন সব মিছে, পাখি নেই পালক আছে,
পাখি উড়ে গেছে কোথা।
গ্রাম হতে শহর, শহর থেকে শহর, মানুষের জীবন চলছে হেঁটে,
এক দিন যায় চলে একা, বাংলার গ্রাম আর হয়না কভু দেখা।