(সুহৃৎগন, মাস তিনেক বিরতির পর কবিতা লিখলাম। এর মধ্যে পাঁচটি ছোট গল্প লিখে খাতা-কলম-কালির শ্রাদ্ধ করেছি। হয়ত হয়নি কিছুই। তবুও সাপ্তাহিক ‘শারদীয়া’ আমার প্রথম গল্প “ধবলের কান্না” ধারাবাহিকভাবে ছাপিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ‘অন্যধারা প্রকাশন’ আমার দ্বিতীয় গল্প  “চৈত্র দাপিনী” একবারেই সম্পূর্ণটি ছেপেছে.www.sharodia.com and www.anyodhara.com ‍‍‍‍‍‍‍‌‌‌‌‍এ দু’টি সাইটে গল্পগুলি বর্তমানে দৃশ্যমান। সকলকে আমন্ত্রণ। তবে অন্যধারার সাইটটি বর্তমানে কিছুটা ক্রুটিযুক্ত আছে)।


যসময়ের ঘোটকিরা দেহাব্রু খুলে ফেলে
কখনও তিরতিরে ধনুক বক্র দেহী হয়ে ছুটে চলে।
আবার কখনও আদিম লালসার আদলে
মানবের ষষ্ঠাঙ্গে সুড়সুড়ি কেটে হারিয়ে যায় দূরে।
শৈশব থেকে কৈশর,
কৈশর থেকে যৌবন,
অতঃপর যৌবন থেকে বৃদ্ধের খোঁয়াড়ে
চলে সময়ের ঘোটিকাদের চির বিদগ্ধ বিচরণ।
একদা তারা আসে জীবনের প্রণয়ী হয়ে,
তারপর বেরিয়ে যায় পরকীয়ার আস্বাদ নিতে অন্য কোথাও।
নিন্দিত নরকের চিত্রাকর আমি,
সময়ের অতসী ঘোটিকাদের চিত্রাঙ্কন
কখনও করতে পারিনা নজরবন্দি।
দেহের আড়মোড়া ভেঙ্গে যখন এই ঘোটিকাদের
তৈলাক্ত আব্রু টেনে ধরতে যাই,
দেখি সময়ের স্বপ্ন-ভাঙ্গা এক বিরহী প্রেমিক
সেই কবে থেকেই হয়ে আছি আমি।


মোঃ মজিবুর রহমান
২৬-০১-২০১৪, রাত ১১-৩৫মিঃ