পাড় ভাঙ্গা নদী আর তীর ভাংগা ঢেউ
মশকের জলে ঢুকে
ডুকরে কেঁদে হতে পারে অবরুদ্ধ।
উচ্ছসিত শব্দের পরিভাষাও
বিচ্ছুরিত হতে হতে হয়ে যেতে পারে
ব্যাকরণহীন বোবা ভাষা।


বিষুভিয়সের গরম লাভা
আর আকাশের নরম জল
সখ্যতা গড়তে গিয়েও ভিন্ন রথ যাত্রায়
হয় পরিগ্রহ।


নদীর সুপেয় জলরাশি
সাগরের লোনা জলে মিশতে গিয়ে
ভিন্ন সত্তায় হয় বিলিন।
মনিষার রহস্যের কর্তিত শিকড়
তেমনি আমার মানষপটে এক হতে হতে
হয়ে গেছে দ্বিবাহু বিস্তৃত
এক পরিচয়হীন কল্প তরু।


দূরের আস্তাবল হতে আসা
কল্পনার রঙ্গে কটিদেশ মোড়ানো
ঘটকিরা এখন বড়ই ক্লান্ত।
শর ক্ষেপনের ক্ষিপ্র গতি পায়ে নিয়ে
বাস্তবের জলাভূমি পার হতে হতে
তারা আজ কেবলি কেটে চলেছে জাবর।


মনের ঘুড়ি ওড়ানোর চৌরাস্তার মোড়ে
মনিষার শেখানো পাঠ
এতই বিবর্ন ফিকে আজ,
যাকে মনে হয় ত্রিশূলে গাঁথা
বন বাঘিনীর নুয়ে পড়া দেহ।


সেই মনিষাকে এখন আমার মনে হয়
পাহাড়ের খালি গায়ে
চিত্রা হরিনীর টেনে টেনে চলা,
আর নিমগ্ন নিশুতি রাতে
বিবস্ত্রা প্রেমাত্মাদের সাথে
মিলনরতা কোন এক নিঃষাঢ় দেহাঙ্গীনী।
                            চলবে..........