কোকিলের কৈলিন্য
আর বিধবার বৈধব্য
সাগর-ভাষা জলের ন্যায় দৃশ্যমান।
নারিকেলের স্বচ্ছ জলে
আমার মানষপটের কুলিন মনিষা
দৃশ্যমান হতে হতেও
হয়ে যায় অদৃশ্যমান।
নিছক নৈরাচার বিড়ম্বনায়
আমার মানষপটকে সে বেছে নেয়
ব্যাভীচারের চারণ ক্ষেত্র রূপে।
এই যে থাকা না থাকার
জটিল নিম্ন গমন আর বায়বীয় উল্লম্ফন,
কামিনীর জৈবিক চাওয়া
আর কামুকের দৈহিক পাওয়ার মতই
আমার কাছে মনে হয়।
চাওয়া পাওয়ার জল সিঁড়িতে
মনিষারা যে মধু মক্ষিকাদেরও
হারাতে পারে অবলীলায় ।


বিষূভিয়সের লাভা আছে,
লোভ নেই।
মনিষাদের ভাল লাগার চেরাগ আছে,
জ্যোতি নেই।
মেঘের যৌবনে আছে বৃষ্টির কান্না,
মনিষাদের ভরা ভাদ্রের যৌবনে আছে উদ্দাম,
নেই বিরহের জল।


চৈত্রের তাপদাহেরও আমি দেখেছি
বুক ফাটা কান্না।
শীতে ভরা মাঘেরও আমি দেখেছি
কুয়াশার বিরহী ঘোমটা।
ছুটন্ত মেঘ রাশির সংঘর্ষের মাঝেও
আমি দেখেছি বিজলীর ছটা।
সমুদ্র ঢেউয়ের মেখলাতেও আমি দেখেছি
আলেয়ারা জ্বালায় আলো।


মনিষার চৈত্রের কান্নার জল
বৈশাখের হু হু করা বাতাসে কেবলি শুকায়,
শীতের ঘোমটার চাদর
গ্রীষ্মের বেহায়া গরমে চুপসে যায় কেবলি।
পোড়া মাটির দেয়ালে
চিত্রকরের আঁকা ছবি
খসে পড়ার সংকটেই যে থাকে কেবল !


চলবে..........