মনিষা, হায় সেই মনিষারা
চোখের জল ফেলতে গিয়েও
না ফেলার দারুণ প্রতিযোগিতায়
দ্রুত ধাবমান নারীর কাতারে হয়ে যায় প্রথম।
তারপর জমিনের কাকতাড়ুয়া দেবতাকে
করে আনভূমিক প্রণাম।


এখন জীবনের এই বিষন্ন পরিসরে
সূর্যের কোলে রাখতে চাইনা মাথা,
কেননা তাতে দহনের ভয় আছে,
চাঁদের কোলেও ঢেলে দিতে চাইনা
এ বিক্ষুদ্ধ শরীর, কেননা চাঁদেরও আছে কলঙ্ক।
বয়সের ভারে বলি রেখাদের পায়ে
আত্মাহুতি দেয় যেমন যুবতীর মুখের লালিত্য,
ভাগাড়ের কাছে তেমন অবসান হয়
সব নোংরামির।
সকালের পদ্মাপাতার শিশির
দূপুরে কেঁদে হয় অবসান।
মনের কার্পেট মোড়ানো পদ্মাসনে
মনিষার আবক্ষ মূর্তি,
যাকে সারা রাত ভবে ভেবে
আমি হই ম্রিয়মান,
তাকে কি আমি ভূল করে চাই,
নাকি পেয়েও ভূল করে হারাই।


নারীর সুখের নরীত্ব হরণ
নাকি পুরুষের কাছে সুখ সমর্পণ।
মনিষাদের কাছে এ এক
অপাংক্তেয় প্রশ্ন আজ।
সুখের সাগরের কাছে
দুঃখের দরিয়ারও থাকে কিছু চাওয়া,
বৃহৎ পদ্মের কাছে
ক্ষুদ্র মালঞ্চ ফুলেরও থাকে কিছু পাওয়া।
বিষাগ্নীর কাছে সুখ-শিহরণের
থাকে অনেক প্রত্যাশা,
অনলের কাছেও থাকে
বাস্পের নিবু নিবু আশা,
পুন্য স্নানের জল রাশির কাছে
তীর্থ যাত্রীর থাকে কিছু চাওয়া,
মনের জ্বলন্ত বিরহের কাছে
নেভানলেরও থাকে কিছু দূরাশা।
মনের খাঁচের বিধৃত আকরের
কোন্‌ নিভৃত কোনে  
আমি আজ এঁটে রাখতে পারি
মনিষার শরৎ নিংড়ানো
সেই সব শ্বেত স্মৃতি ?                                           চলবে.......