এখন বরষায় ভেজা এই বাংলাদেশ।
কেমন আছে শেয়াল, ঘুঘু, আর পেঁচাদের নিবাস?
নিম, তেঁতুলের পাতার ফাঁকে কাক ভেজা জলের ময়ান,
তবু সেখানে গায়ে গা লেগে থাকা পাখিদের চলছে
ভালোবাসার দারুণ উচ্ছাস।


এই বাদল দিনে কাঠ ঠোকরাদের ঠোঁটের শাবল
কখনও বা হঠাৎ যায় শোনা,
নলখাগড়ার বনে বৃষ্টি ভেজা হলহলে বাতাসের তালে
অলস মাছরাঙ্গার চলছে দোল খাওয়া,
বাড়ন্ত সময় এখন তার করছে আনাগোনা।


ঘরের বারান্দায় চলছে এখন কিসের আড়ম্বর?
তালি দেয়া শাড়ি দিয়ে চলছে কাঁথা বানানোর কসরৎ।
দাদি, চাচি, মায়েদের ধান শুকাবার নেই কোন তাড়া।
অলস সময় করছে তারা পার,
চলছে তাই কাঁথা বানানোর মহরত।


অন্য ঘরে বসেছে তখন কিসের লাইন?
দাদি বসেছে বৌয়ের মাথা ধরে উকুন বাছার তরে।
বৌ ধরেছে তার ছেলে বৌয়ের মাথার চুল,
আর ছেলে বৌ রেখেছে হাত ছোট মেয়েটির মাথায়,
চলছে উকুন বাছা প্রাণ ভরে।


ওদিকে আরেক ঘরে ফিসফিসিয়ে চলছে এ কোন্‌ কাহিনীর পালা?
নথ নেড়ে এ ঘরের গৃহবধুটি বলে ননদিনী, স্বামীর আদর কেমন?
এইত সেদিন ননদিনীর হয়েছে বিয়ে, লাজে মরে সে।
বলে ভাবীগো, বলিতে লাগে শরম
স্বামী ছাড়া সুখ হয় কি পূরণ।


মোঃ মজিবুর রহমান
সকাল, ২০/০৬/২০১৪ইং।

“বরষার আয়োজন”