ভরা কটালের মহরত এখন শেষ,
অমাবশ্যায় এসে মরা কটালের এখন পিছু হটা।
বাঁশীর দ্রোহাগ্নি ত্যেজে শরু হয়েছিল যে বন পোড়া,
কবে যেন বন পুড়ে, মন পুড়ে চলে গেছে সেসব তামাদির খাতায়।
রাতের অমাবশ্যায় এখন প্রেম যোগিনী ঘোরে,
যদিও যায়না দেখা সেই চেনা মুখ, সেই সিঁদুর, সেই টিপ।
কিংবা লাল পেড়ে শাড়ির উদগ্র বেড়ের খাঁচেও ভাষেনা তার সেই তীর্যক দেহ।
প্রেম তার নিরাকার, বুকে তার হাহাকার.........
তবুও চলে যামিনীর কৃষ্ণতা ভেঙ্গে তার নিজেকে জাগাবার প্রয়াশ।
কালের সফেদ খাতায় প্রেমের বেহায়া চিরল দাগ
এখন দিগম্বর অবয়বে হাসে।
তার এ হাসির পাঠোদ্ধারকলা এখন চারু কলার বাতিল নকশা।
নিরন্ন প্রেমের কঙ্কাল, রাতের আঁধারে তার দুর্লভ দেহ নিগড়ে
ফেরার প্রয়াশে হয় মুহ্যমান।
যদিও নষ্ট অমাবশ্যার কালো আঁধার তাকে করে সমাহিত।
আমার বেহায়া পৌরুষ কখনও জ্বলে, কখনও নিভে
তারপর নপুংসক কামোদ্দীপনায় হারিয়ে যায় তমশা পুটে।
বারাঙ্গনা সাধের তড়পানো জ্বালার পরিহরণ হয় গেলাসের নীল জলে।
অতঃপর উচ্ছিষ্ট মদের মাদকতা গ্রহণ করে মাক্ষিকুল।
রাত আসে, দিন খসে, রাতের কৃষ্ণ বলয়কে আমি বলি-
সেই চেনা মুখ আমি কি দেখেছি তারে?
কিইজানি কখন, চোখে রেখে মন, মনে রেখে তমশার ধন,
খুঁজে চলি আমি এই সব তমশার ঘোরে।


মোঃ মজিবুর রহমান
০৪-০৮-২০১৪ ইং।