দুপুর রাত্রে দিয়ে চিৎকার
আতর আলি মৃধা বসলো খাটের ’পর।
গালে চেপে হাত
কঠিন রোদনে রাত দুপুরে মাতিয়ে তুললো ঘর।
তির তির করে তার দেহ
দাঁতে যে পোকার দারুন ব্যাথা,
কখনও ছিড়ে মাথার চুল
কখনও গায়ের কাঁথা।
হন্যে হয়ে ছুটে সবে
খুঁজে পেতে ডাক্তার,
নিদেন পক্ষে পেলে বৈদ্য একখানা
ব্যাথা থেকে হবে উদ্ধার।
ঘনিয়ে এল প্রভাত
এরি মাঝে ডাক্তার এল প্রথম ভাগে,
সিরিঞ্জ উঁচিয়ে বলে সে-
এ্যানেসথেসিয়া দিতে হবে আগে ।
এরপর সূক্ষ অস্ত্র দিয়ে
তুলে নিতে হবে দাঁত,
আশাকরি উপশম হবে ব্যাথা
আসার আগেই প্রভাত।
এমন সময় এসে গেল বৈদ্য
সে-ও পেয়েছে দাঁতের খবর,
চিমটে, হাতুড়ি, প্লাস এসব নিয়ে
চলে এল সে আতরের উঠানের পর।
বললো সে কেশে-
ডাক্তার বাবু সিরিঞ্জে হবেনা কোন কাজ,
চিমটে, হাতুড়ি, প্লাস যোগে
উপড়িয়ে দাঁত বসাতে হবে কাপড়ের ভাঁজ।
ডাক্তারের চোখ এবার চড়কগাছা!
বললো সে রেগে-
সেকেলে বৈদ্য ছাড়না রুগিটা আমায়
তারপর যাও দেখি ভেগে।
বৈদ্য বেটা সে-ও কথায় ঠেঁটা।
বললো ঝাঁজের সাথ-
হাতুড়ি, প্লাস, চিমটে প্রয়োগে
আতরের দাঁত করতে হবে কাত।
বৈদ্যের এসব শুনে সিরিঞ্জ হাতে
ডাক্তার এল ছুটে,
বৈদ্য বেটাও এবার মালকোচা মেরে
অস্ত্রপাতি নিয়ে আতরের কাছে গেল জুটে।
আতর আলি বসেছিল খাটে।
দ্যাখে সে ডাক্তার বৈদ্য মিলে,
আসছে সমানে তেড়ে
যে যার অস্ত্র খুলে।
রক্ষা কর মা’বুদ!
খাট থেকে আতর আলি লাফ দিল নিচে,
ভয়ে ডরে দাঁতে দাঁত লেগে
বেচারা আতর আলির দম গেল খিঁচে।


রম্য-৪


মোঃ মজিবুর রহমান
সকাল, ১৬-০৮-২০১৪ ইং।