ছেলেটি পড়ে নবম শ্রেণীতে।
সে লিখেছিল তার খাতায় ‘আই লাভ ইউ চন্দনা’।
বাবা গিয়েছিল তার ঘরে, দেখে সেই লেখা বললো নিজেকে-
ছেলেটি আমার অকাল কুষ্মান্ড, পেকে হয়েছে ঝুনা।
বললো সে তার স্ত্রীকে, কই গো, আছ কোথায়, দেখে যাও,
তোমার ছেলে হয়ে গেছে এখন ঝুনা নারিকেল।
দেখ ক’দিন পরে আবার না হয়ে যায় সে গাছে পাকা বেল।
মা কেঁদে কয় ছেলেকে, খোকা,
এই বয়সে পড়েছে নজর তোর মেয়েদের উপর
তুই কি এমন বোকা?
বললো ছেলে, মা তোমরা যে কী সব বল।
চন্দনা নয় মেয়ে, সে তো পাখি, আমি মিথ্যে বলছিনা কোন।
মা বললো, খোকারে বেশ বেশ।
বললো বাবা, কী ভুলটাই না হলো, ছেলেটি আমার সুবোধের শেষ।
ছেলেটি খুললো আবার মুখ।
বললো সে মা, সব কিছু ঠিক আছে, মনে দুঃখ নিওনা।
তবে ছোট্ট একটি কথা মা.........
মা বলে তাড়াতাড়ি, বেশতো কথাটি এবার বলেই ফেলনা।
বললো ছেলে ঘাড় চুলকে, কথাটি তেমন নয়, কথা তো প্রায় শেষ।
তবে মা, রয়েছে যে কথার একটু রেশ।
সস্নেহে বলে মা, তাহলে বল না বাবা, কথাটি তোর কী?
ছেলে বলে মা, আমাদের ক্লাশের ঐ চন্দনা মেয়েটি,
সে শুধু আমার দিকে ড্যাব ড্যাব করে চায়।
আর ফাঁক পেলেই আমার সাথে আদুরে আদুরে কথা কয়।
মা বললো রেগে, তবেরে বাঁদর ছেলে,
তলে তলে তোর পেকেছে পেটের বিচি।
ওদিকে তখন আঁতকে উঠে বাবা স্ত্রীকে কয়-
তাহলে তুমিই বল, তোমার ছেলের
‘আই লাভ ইউ চন্দনা’র আসল মানেটা কী?


রম্য-৫


মোঃ মজিবুর রহমান
২১-০৮-২৯১৪ ইং।