ধনুকের হইল সাধ
তীরের মত হইবে সে সোজা।
হাসিয়া কহিল তীর-
উঁ-উঁ-হু, ইহা তো হইবার নয়
কারণ ঈশ্বর তোমায় বানাইয়াছে গুজা।


ধনুকের হইল গোস্বা, কহে সে-
ওরে নষ্ট মাথার তীর,
জানিস না তুই বাঁকিয়া থাকিতে
লাগে কেমন অধীর।


বিকট শব্দে হাসিল তীর, কহে সে-
বাঁকার কর্ম যে থাকিতে হইবে বাঁকা,
লাভ কি তাই বাছা
ছাড়িয়া এত সব বুলি ফাঁকা?


মনের দুঃখে কহিল ধনুক-
কথায় নহে, দেখাইব কাজে একদিন।
অট্ট হাসি দিতেছ আজিকে তুমি
বুঝিতে পারিবে সেইদিন।


একদা বসিল বট বৃক্ষে নয়ন জুড়ানো
দুর্লভ এক পাখি,
শিকারী ভাবিল মারিতে হইবে তাকে
নচেৎ জীবনটাই যে ফাঁকি!

পরম যতনে রশিটির সনে বসাইল সে তীর
বাঁকা ধনুকের গায়,
সূক্ষ নিশানা টানি, বন্ধ করিয়া তার দম খানি
দাঁড়াইল সে মাটির ’পরে শক্ত পায়।


শিকারী এইবার ছুঁড়িতে গেল তীর
কঠিন নিশানা ভরে,
রাগতঃ ধনুক ছিড়িয়া তার রশি
সোজা হইল একেবারে।
ঘটনার এই কঠিন চক্রে তীর তখন  
ঊর্ধে নাহি গিয়া,
ইঁটের দেয়াল পানে ছুটিল সটান  
পড়িল আছড়াইয়া নাকে আঘাত নিয়া ।


ইহার পরের ঘটনাটি অতি সংক্ষেপ।
তীর হইল বাঁকা আর ধনুক হইল সোজা,
হাসিয়া ধনুক কহে-  
বেটা তীর, এইবার বোঝ থাকিয়া তুমি গুজা।