আমার নাম ফুলমতি।
আমার চোখে যখন ফুটলো জ্যোতি
আর দেহখানা হলো চকচকে,
ক’দিন রেখে আমাকে চোখে চোখে,
গারমেনের লাইন সুপার
বললো, ফুলমতিরে তুই তো আমার
চোখে ধরালি আগুন,
প্রাণেও আনলি ফাগুন।
চল আমরা গিয়ে বাঁধি ঘর
তারপর হই একাকার।


তো, হয়ে গেল আমাদের বিয়ের বন্ধন
চললো এক সাথে থাকা, খাওয়া, রন্ধন।
বললাম তাকে আমি এক দিন-
সময় তো গড়ালো অনেক রঙ্গীন।
চলো এবার নিয়ে তোমার বাড়ি
নয়ত তোমার সাথে আড়ি।
অনেক কষ্টে রাজি হলো সে,
যদিও তার কাছে কাজটি ছিল বাজে।

দেখি সেখানে আছে তার বউ এক খান,
আরো আছে তিন সন্তান।  
আমায় দেখে বললো তার বউটি,
দাঁড়া তোরে মজা দেখাই খাঁটি।
আই তো সবে, এই ছেরিকে ধর;
আচ্ছা করে ছালার ভিতর ভর।
তারপর বস্তাতে দে আগুন,
জ্বলে খাক হোক এই বেশ্যার ফাগুন।


যদিও ঘটল না কিছু,
তারপরেও দুর্ভাগ্য ছাড়লনা আমার পিছু।
এক রাত্রে এল কিছু লোক,
শোনাল আমায় সস্তা প্রেমের শোলক।
সেই থেকে আমি............
লোকে বলে সবই নাকি আমার নষ্টামি।


মহোদয় আপনারাই বলুন কী আমার পরিচয়।
আমার কি জন্ম হয়নি আপনাদের ঘরে, এই বাংলায়?


মোঃ মজিবুর রহমান
০৮-০৯-২০১৪ ইং।