নিকুঞ্জধনঃ  মনের সাথে মনের নিবাস        
নায়েব        গড়ে যদি কেহ,
               অর্ন্তকথা বুঝতে পারে
               দেখে তাহার দেহ।


জমিদারঃ     বল তবে আমার মনে  
স্বরাজ         আছে কিবং কথা,
মূখার্জি        বলতে নাহি পারলে সেটা
               কাটব তোমার মাথা।

নিকুঞ্জধনঃ [ অনুমান করে বলে ]
নায়েব   
               জানি জানি পঞ্চবটির
               বট কন্যার সাথে,
               বিয়ে কারো দিতে চান
               মানব ধর্ম মতে।  


জমিদারঃ    সাধু! সাধু! খোঁজ দেখি
স্বরাজ        বট কন্যার পাত্র একখান,
মূখার্জি       পাকুড় বৃক্ষ পাত্র হলে
               হয়না বেমানান।

নিকুঞ্জধনঃ    আছে জানি বৃহৎ বড়
নায়েব         পাকুড় গাছের ঝাড়,
                সরফরাজ খাঁ জমিদারের
                মালেকা দিঘীর পাড়।   


জমিদারঃ     পাঠাও তবে বিয়ের পয়গাম
স্বরাজ         জমিদার খাঁর কাছে,
মূখার্জি        আমাদের এক বট কন্যা
                বিহযোগ্যা আছে।


নিকুঞ্জধনঃ   শুভস্য শিঘ্রম; শাদির কাজটা
নায়েব       দ্রত সারতে হয়,
              নইলে মোদের বট কন্যার
              কথায় লাগে ভয়।


জমিদারঃ    নরায়ণ! বট কন্যা কথা কহে
স্বরাজ        কেমনতরো কথা,
মূখার্জি       শুনলে তাহা সাওন বায়ে
               ঘোরে আমার মাথা।


নিকুঞ্জধনঃ  বট কন্যার দেহের ভাঁজে
নায়েব      উপচে পড়া ঢেউ,
              নিশা মাঝে বলছে ডেকে
             শুনছে না তো কেউ।
             দখিন বায়ে নড়ে যে তার
             বুক পিঞ্জরার খিলান,
             বিরাগ দেহে আছে খাড়া
             হৃদয়টা তার বিরান।
             রাতের বেলায় শ্যাওড়া গাছের
             বখাটে এক ভূত,
             সুযোগ বুঝে কন্যার ধারে
             খেলছে কুত কুত।


                                                                    চলবে..........