জমিদারঃ উঁহু-হু-হু, এ যে দেখছি
স্বরাজ     শ্যাওড়া ভূতের চরম বেয়াদপি,      
মূখার্জ     বিবাহযোগ্যা কন্যার ধারে
            চলছে মাতামাতি।
            নায়েব নিকুঞ্জ কথার খঞ্জ
            এ সব কথা শুনে,
            বট কন্যার বিয়ের কথা
            পড়েনি তোমার মনে?
            জলদি করে ঘটক পাঠাও
            সরফরাজ খাঁ’র কাছে,
            শুক্ল পক্ষের পঞ্চমিতে
            বিয়ে ধার্য্য আছে।
স্থানঃ জমিদার সরফরাজ খাঁর দরবার। সেখানে জমিদার স্বরাজ মূখার্জির নায়েব নিকুঞ্জ বাবু এবং জমিদার সরফরাজ খাঁর নায়েব আরফান দোস্তগীর উভয়েই উপসি'ত রয়েছে। দুই জমিদারের নায়েবগন পূর্ব পরিচিত। জমিদার সরফরাজ খাঁও নায়েব নিকুঞ্জধনকে চেনেন। ইতোমধ্যেই দুই নায়েবের মধ্যে বট এবং পাকুড় বৃক্ষের বিয়ে নিয়ে আলাপ হয়েছে। ব্যাপরটি উপভোগ করার জন্য তারা দু’জনেই একমত।


জমিদারঃ  কি হে দোস্তগীর বল দেখি
সরফরাজ  কি খবর তোমার,  
খাঁ          নায়েব নিকুঞ্জের পদধুলি
            দেখছি মোদের ঘর?


দোস্তগীরঃ হুজুরে আলা জগৎ উজালা
নায়েব      প্রস্তাব এক খান আছে,
              নায়েব নিকুঞ্জ সোনার কুঞ্জ
             তাইতো আমার পাশে।
             স্বরাজ বাবু সখের বসে
             দিয়েছেন পয়গাম,
             পাকুড় সাথে বিবাহ সূত্রে
             বট কন্যার হবে পরিনাম।
             মালেকা দিঘিীর পাড়ে মোদের
             পাকুড় গাছ যে আছে,
             নওশা সেজে বিয়ে হবে
             বট কন্যার সাথে।
             তাদের আছে বট কন্যা
             পঞ্চবটির হাটে,
             তারই সাথে পরিণয়টা
             হবে মধুর বটে।
             আমাদের সেই পাকুড় বৃক্ষ
             আছে ভীষণ খাড়া,
              ড্যাকরা সেজে বিয়ের লাগি
             দিচ্ছে হয়ত তাড়া।
             কে জানে সেই গাছের নাতি
             করছে আঁতিপাতি,
             বিয়ের খায়েশ মনে পুষে
             খুঁজছে কন্যা জ্ঞাতি।    
                              
                                              চলবে..........