জমিদারঃ [কথা শুনে খাঁ বাহাদুর
সরফরাজ দিলেন মোচে তা,
খাঁ বললেন হেসে বিস্তর কথা
ফুলিয়ে তিনার গা।]
বললনে তিনি-
বর খানা মোর ফেলনা কিসের
তারও আছে সখা,
একশ’খানা পাঞ্জাবী আর
পাজামা চাই খাসা।
উত্তরীয় আর নাগরা জুতো
দিতে হবে সাথে,
দৈ চিড়া আর গুড়ের কথা
ভুলনা যেন পিছে।
ঝুড়ি বিশেক নারকেল নাড়ু
চাই যে আমার চাই,
এবং প্রকার খাবার ছাড়া
বিয়ের পর্ব নাই।
দশটি হাতী আসতে হবে
ঢোল শহরত করে,
নৃত্য গীতি চালাতে হবে
‘ফাতমো' দিঘীর পাড়ে।
নিকুঞ্জধনঃ এ যে দেখছি অবতারের
নায়বে বিরাট এক খান প্ল্যান,
আমার মত বাদুড় পঙ্খীর
নাই যে এসব জ্ঞান।
বগল দাবায় ছাত্তি দিয়ে
দিলেম রওনা ঘর,
আপন ঘরের ভূমস্বিরকে
বলব সবিস্তার।
মুর্দা পঙ্খির জিন্দা জীবন
কেবা নাহি চায়,
বৃক্ষ শাদির উৎসব যেন
তল্লাট জুড়ে হয়।
খাঁ জমিদার মা বাপ সবার
বাঁচুন চিরকাল,
পাকুড় বর আর বট কন্যা
শাদির স্বাদে হাসুক অবিরল।
স্থানঃ জমিদার স্বরাজ মূখার্জির দরবার। সেখানে নিকুঞ্জধন নায়েব পৌঁছা মাত্রই এক রকম হৈ চৈ পড়ে যায়। জমিদার স্বরাজ মূখার্জি নিজে দাঁড়িয়ে নিকুঞ্জধন নায়েবকে স্বাগত জানান।
জমিদারঃ কি হে নিকুঞ্জ হাত্তির খঞ্জ
স্বরাজ ছাত্তি মাথায় এলে,
মূখার্জি শাদির খবর কওনা দ্রুত
কেমন সাড়া পেলে।
নকিুঞ্জধনঃ মাভৈ মাভৈ ভূমিশ্বর যে
নায়বে খবর বার্তা ভাল,
খাঁ জমিদার সরস চিত্তে
বিয়ের পয়গাম নিল।
এবার তবে ঢেড়া বাজুক
পড়ুক ঢোলে বাড়ি,
কাঞ্চা পাতার ফোকর দিয়া
বট কন্যা হাসুক গুড়ি গুড়ি।
সখিরা তার ঘররে নারী
বাইরে করুক নাচ,
দুলিয়ে কোমর নৃত্য করুক
খুশি বয়ে যাক।
উজান গাঙ্গের বিজন জলে
হস্তি করুক স্নান,
ধাঙ্গড় পাড়ায় দারুর নেশা
চলুক টান টান।
নাপিতশালায় ঠাকুর মাথায়
সফেদ টিকি মাঝে,
কলপ চলুক হর হামেসা
সকাল বিকাল সাঁঝে।
বুড়ির সাথে বুড়োরা সব
করুক বেজায় ঢঙ্গ,
বুড়িরা সব চামড়া মাঝে
মাখুক হরেক রং।
ঘোষের গরু মোটা সরু
আছে যত্ত সব,
শিঙ্গের আগায় রং মাখিয়ে
আনুক খুশির ভাব।
কৈয়ের তেলে এলে বেলে
রাঁধুক ঘরের বৌ,
ঝাঁজের ঠেলায় ঘরের মাঝে
থাকবেনা আর কেউ।
উল্কি আঁকুক দুল্কি দিয়ে
যুবা যুবতীর দল,
বট কন্যার বিয়ে হবে
বল রে তোরা ব-অ-অ-ল!!!