আসিলেন ব্যাংকের বড় কর্তা
বসিলেন কেদারায়,
কল বেল টিপে
দৃষ্টি রাখিলেন দরজায়।
নাহি তো পিওন,
কি হইয়াছে আজিকে তাহার?
নাহ্‌, আর দয়া নহে
চাকুরীটা খাইতে হইবে অভাগার।
মিনিট দশেক পরে ঢুকিল পিওন
হন্ত-দন্ত ভরে,
এক হাতে ছাতা অন্য হাতে
গোব্য ঘৃতের টিন ধরে।
চড়াও হইলেন বড় কর্তা-
কলমের প্যাদানিটা চিন?
চাকুরী তোমার খাইব এখুনি
দেরীর মাজাটা বুঝিতে পার যেন।
চোক্ষে নিয়ে জল কেঁদে অবিরল
কহিল পিওনের ছাও,
চাকুরীটা গেলে ক্ষুধায় জ্বলিবে
ঘরে আদম সন্তানদের গাও।
ছ্যাঁচা কাবাবের মত গায়ের গোস্তে
পড়িবে বিস্তর ছ্যাঁচা,
হাঁড়ির ভিতর ডাকিবে তখন
বেহায়া লক্ষি পেঁচা।
বলিলেন বড় কর্তা, তা বেশ।
তাহলে বল টিনের বয়ান কি?
কোথা হইতে গোব্য ঘৃতের আগমন,
কহ তাহার মাজেজাটি।
বেচায়েন হইয়া কহিল পিওন -
আপিসে আসিবার তরে,
শিল্পপতি এক
লইয়া গেল আমায় ধরে।
কহিল সে এই যে গোব্য ঘৃত
মাখাইও বড় কর্তারে প্রতি দিন,
কারণ সে যে আমায় দিয়াছে
কোটি কোটি টাকার অনাদায়ী ঋণ।
ঘৃতের মর্দণে শরীর চর্বণে  
কীই যে ভাল লাগে তার,
রাখিয়া দিও টিনখানা  
গোব্য ঘৃত মাখাইতে হইবে বার বার।
                                         মোঃ মজিবুর রহমান।
০৫-১১-২০১৪ ইং।